বাঁশি
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


বাজিওনা শ্যাম বাঁশি ধরে রাধা নাম,
বাঁশির সুরে হই পাগল, কলঙ্ক বদনাম।
মধুর সুরে বাজাও বাঁশি যমুনার কুলে,
সমাজে কলঙ্কিনী বধু জাত কুল ভুলে।
বাঁশের বাঁশি সুরে ,পাগল করে তোলে,
ঘরের বাহির হলাম জল ভরিবার ছলে।


বাঁশির সুরে অঙ্গ জ্বলে অন্তর শুধু পুড়ে,
ও বাঁশি মনে কেন ? আগুন জ্বালাস সুরে।
সুরে সুরে সারাজীবন দিলি কারে সুখ,
কলিজা কামড়ে ধরে কারে বলি দুঃখ।
বাঁশের কনচি বাঁশি থাকতি যদি ঝাড়ে,
ভিনদেশী বংশীবাদক ডাকত কি সুরে?


অচীন সুরে বংশীওয়ালা কদম্বের ডালে,
বাজায় বাঁশি দিবানিশি চিকন সুর তুলে।
কোকিলের সুর বাঁশির সনে যায় মিলে,
গোপনে গোপিনী ময়ুর নাচে ছন্দ তালে।
মরা নদীতে জোয়ার আসে সুর শুনিলে,
বিনোদিনী শ্রীমতি নিজেকে যায় ভুলে।


বন্ধুর বাঁশি বাজে ঐ কৃষ্ণচুঁড়ার তলে,
মন মজায়ে লুকালো শ্যাম গোপালে।
দিন দুপুরে বুকের ঘরে ডাকাতিয়া বাঁশি,
সিঁধ কেটে চুরি করে হৃদয়ে পড়ে ফাঁসি।
গলার হাড় হরণ করে নিঠুর বাঁশিওয়ালা,
হাসি হাসি মুখে বাঁশি বাজায় শ্যাম কালা।