কে দিয়াছে তোর গালে থাপ্পড়
ব্যথায় প্রকাশিলে বিষম ক্রোধ,
ওহাকে খাবি তুই জ্যান্ত চিবিয়ে
নিবি আজিকে চরম প্রতিশোধ।
প্রতিহিংসার অনল জ্বালিয়ে
আক্রোশে তুই করিলি মহাভুল,
মানবতা ভুলে অমানুষের ন্যায়
ঝগড়া ফ্যাসাদে লিপ্ত অনর্গল।


ভুল না হয় সে করিয়াছে অজান্তে
ক্ষমা করিসনি বিবেক আদালতে,
ক্ষতি সাধনে শাস্তির পরোয়ানায়
মৃত্যুদন্ডের বিধান নিজের হাতে।
ক্ষুধার্ত সিংহের মত গর্জণের থাবা
ক্ষমতার উচ্চাসনে শক্তিধর রাজা,
নির্যাতনের অত্যাচারে কারারুদ্ধ
শৃঙ্খলিত জনম দুুঃখী অসহায় প্রজা।


অন্তরে তোর নেই কোনা মায়া মমতা
পাষুন্ড বর্বর তুই ওরে নাদান অধম,
মহত্বের কাজে উদার হতে সমাজে
শান্তি প্রতিষ্ঠার গৌরবে হলিনে উত্তম।
চারিত্রিক আদর্শে সুশীল সভ্যতায়
অবদান নেই তোর মূখ্য ভমিকায়,
তুচ্ছ বিষয়ে মহাতান্ডব ঘটালি শুধু
শত্রুতার চরমপন্থী রক্তের হলি খেলায়।


কোমল ব্যবহারের নরম সুরে কখনো
বলিসনি বুঝিয়ে কভু নীতির উপদেশ,
মারলে কেন ভাই চলো শোধরে যাই
মনের মাঝে না পুষে হিংসা বিদ্বেষ।
ভুল যদি করে থাকি ক্ষমা কর মোরে
বিণয়ে নতশির কৃতজ্ঞ থাকিব চিরকাল,
আমরা মানুষ স্রষ্টার সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব
মঙ্গল কল্যাণে নির্মূলে জগতের জঞ্জাল।


তোর মাঝেই রয় মন্দ প্রবৃত্তির স্বভাব
কাকে ভাবিস খারাপ কর্মদোষে নিন্দা,
স্বার্থের বিষাক্ত ছোঁবলে দংশিলি কত
নিত্য লালন পালনে অন্তরে পশু জিন্দা।
কে করিল অনিষ্ট সাধন জীবনে আমার
নাকি আমি হলাম কারো ক্ষতির কারণ,
কাহার পাপের শাস্তির বদৌলতে আমি
পাপী অপরাধী হয়ে করি জীবন যাপন।।