রাজার বাড়ির অতিথী
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


রাজার বাড়ির অতিথী শালায় আমি মেহমান,
অনাদরে অবহেলায় হইলাম কেবল অপমান।
দিন রজনী পার করিলাম কত কষ্ট অনাহারে,
খাবার দিল মাঝে মাঝে কখনো পেট না ভরে।


সজ্জিত খাট পালঙ্ক শোবার জন্য আয়োজন,
ক্ষুধার জ্বালায় নিদ্রাবিহীন সজাগে দুই নয়ন।
লেপ তোষক বিছানাপত্র সবই ভাগ্যে জোটে,
মশা মাছি মূল্য ধরে উপরে ছাড়পোকা হাটে।


কাম ক্রোধ মোহ লোভ মদ মাৎসর্য্য সর্বদায়,
অতিথী রেখেছে পাহারা ছয়জন পেয়াদায়।
ইচ্ছেমত মহলের সৌন্দর্য করি যখন দর্শণ,
শিকলে বন্দি করে অপরাধী সাজায় তখন।।


ভয়ে ভয়ে দিবা নিশি কর্মকাণ্ড পাইনা কোনো,
গুন কিত্তন করি বসে আসামী না হই যেনো।
অতিথীর বাসনা তবু পায় যদি রাজার দীদার,
মনের আনন্দ চিত্তে অন্তরে ডাকে বারে বার।


ন্যায় পরায়ণ রাজা মশাই বিচারক স্বাধীন,
অতিথীকেও আইন প্রয়োগে করেছে অধীন।
অফুড়ন্ত সুখের ভাণ্ডার অতিথীর জন্য জমা,
সীমা লঙ্গনের অপরাধীর ভুলের নেই ক্ষমা।


দায়িত্বশীল মহারাজায় রাখছে দুই কর্মচারী,
ভালো মন্দ ন্যায় অন্যায় অতিথী নজরধারী।
লিপিবদ্ধ দলীল পত্র সমাবেশে করবে পেশ,
রাজার বাড়ির অতিথীর দিন কাটছে বেশ।।