স্বপ্ন ভাঙ্গা
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


সুখের প্রত্যাশায় ভিক্ষার ঝুলি হাতে দাড়িয়েছিলাম যবে তোমার দ্বারে,
সেই হাতে অবজ্ঞার শূণ্য ধরিয়ে দিয়ে
আনন্দে নেচেছিলে উপহাস করে।
পার্থিব সকল সুখ বিসর্জন দিয়েছিলাম
তোমাকে করতে সুখী এই জগতে,
নিজেকে করেছি বঞ্চিত তোমার কারণে
ভালবাসার সকল প্রস্তাব প্রত্যাখাতে।


চেয়েছিলে যা দিতে ছিলনা চেষ্টার ত্রুটি
তোমাকে খুশি করতে সদা ভাবনা,
ভোগের সামগ্রী প্রয়োজন ফুড়িয়ে গেলে
কদরবিহীন হয়েছি ময়লা আবর্জনা।
চরিত্রের সতীত্ব পরিক্ষা করবে কি তুমি
অশালীন কর্মে লিপ্ত করে নিজেকে,
কামনা বাসনার বেপরোয়ার আবেগ যত
পাপের অভিযোগে অপরাধী আমাকে।


বিশ্বাসে ধরেছিলাম তোমার হাত দু'খানি
ভরসার নিরাপদ আশ্রয় চলার পথে,
হৃদয়ের শক্তি বাড়িয়ে দিল জীবনের গতি
তুমি আমি পাশাপাশি চড়িলাম রথে।
সুখের রাজ্যে পেরিয়ে যুদ্ধের ময়দানে এসে
প্রতিযোগীতার চ্যালেঞ্জে ছুঁড়ে মহাবীর,
নির্বাক হয়ে হতভাগী তাকিয়ে শংকিত আজ
ধূসর কুয়াশার মাঝে হতাশায় অস্থির।।


ভাবছ চাইব জীবন ভিক্ষা মহান হবে তুমি
বরণ মালা দিয়ে বিজয়ী করব ঘোষণা,
মিছে আশায় সাজানো ক্ষণিকের প্রতারণা
আমি অবলা স্রষ্টার সৃষ্টি এত দূর্বল না।
জাগ্রত বিবেকের বিচারক নও মনুষ্যত্বহীন
তোমার আদালতের কাঠগড়ায় আমি,
স্বাক্ষী প্রমাণে যুক্তি তর্কে শাস্তি দিলে আজ
স্বপ্ন ভাঙ্গার বিচার করবে অন্তরযামী।।