তুমি আনন্দ
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


হে প্রভু তোমার মহিমায় জগতের সকল সৃষ্টি,
সুন্দর ভূবন দেখিতে চোক্ষযুগলে দিলে দৃষ্টি।
মোহান্ধ মোরা দিন দিন বাড়ে পাপের বোঝা,
সর্বদা আড়ালে তুমি ঝাপসায় নিরন্তর খোঁজা।
সূর্যরশ্নির অধিক প্রজ্জ্বোলে তুমি আছ জ্বলে,
তোমার অস্তিত্ব লুকিয়েছ অতিব সুকৌশলে।
পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিন বিরাজিত দিগ দিগন্ত,
অনাদির আদি অস্থিত্ব যুগ যুগান্ত নেই অন্ত।


আমাদের কল্যাণে তুমি দান করিলে রহমত,
নিত্য উপহার সামগ্রী গ্রহণ করছি অবিরত।
তৃষ্ণার্ত পাথর কেবল মরুভুমিতে ধুলি ওড়ে,
রহমতের জলধারা তোমার পিপাসা দুর করে।
চেতন সত্বার অস্থিত্বে জীবন্ত বারুদ বোমার,
বিস্ফোরণের স্পর্শেই বিকশিত জীবন আমার।
প্রবাহমান বাতাসে ধুলিকণামাত্র করি নড়াচড়া,
অদৃশ্য বায়ুর ন্যায় প্রভুর অস্থিত্ব প্রবাহিতধারা।


তুমি অস্পৃশ্য বসন্তের বায়ু মোরা সবুজ বনানী,
তোমার স্পর্শ উপস্থিতিতেই নড়ে হস্ত পদখানী।
অন্তনিহিত শক্তি ব্যতীত অসাড় দেহটা নিথর,
হাটা চলার ক্ষমতা তুমি কথা বলিবার কন্ঠস্বর।
কর্ণে শুনি মধুর ধ্বনি প্রকাশ করি মনের ভাব,
ক্ষুধার্ত পেটে আহারে জিহ্বায় দিলে অন্নের স্বাধ।
শ্বাস প্রশ্বাসে আসা যাওয়া পাই তোমার সুগন্ধ,
তুমি আমার ভাল আপন বৃক্ষ ফুল ফল আনন্দ।