কে তুমি আমাতে খেলেছো তোমার মতে,
কি যে অভিপ্রায় কভু পারি না তা জানিতে।
অন্তরে স্বরন করি ডাকিতে দিবস রজণী,
ভুল বুঝে দূরে সরে লুকিয়ে যে অভিমানী।
অনাদির আদি তুমি অনন্তকালের চিরঞ্জীব,
বড় কষ্টের যন্ত্রণায় সাজালে জীবন পার্থীব।


মহিমাময় কৃপাময়ী প্রশংসার গৌরব করি,
সুন্দর পবিত্র উচ্চাসনে রেখে অপেক্ষায় মরি।
সর্বশক্তিমান তুমি আড়ালে থাক মহাসুখে,
দুর্বল আমাকে পেয়ে লাথি মারে কে বুকে?
ক্ষমতার বাহাদুরি দেখি সকল জারি ঝুরি,
কোথায় পালাও তুমি আমাকে একা ছাড়ি?


মিথ্যার আবরণে আমায় সত্যের অন্বেষণে,
কি কার্য্য উদ্ধার করিতে পাঠিয়েছো ভূবনে?
ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা অকারণে বাঁচার আশা,
ন্যায় অন্যায় লোভ লালসা আমাতে সর্বনাশা।
আমার মাঝেই যদি তোমার সকল দাবী,
দিয়েছো কেন বল অপছন্দের কঠিণ চাবি?


তোমার এই খেলাঘরে আমি বড়ই অসহায়,
সন্তুষ্টি অর্জনের প্রচেষ্টা আমার সকল বৃথায়।
করুণার মহান দাতা আমার বেলা তুমি কৃপণ,
ভুল ভ্রান্তি কাঁদে চাপিয়ে অপরাধী খেতাব এখন।
ইহকাল পরকাল তোমার শাস্তি থেকে মুক্তি চাই,
তোমার আমার খেলা শত্রু মিত্র কিসের লড়াই?