শরতের শেষাংশ-মাথার উপর ঝুলন্ত পূর্নিমার চাদ
হেমন্তের শুরুতে রাত জেনো আগেভাগেই নেমে আসে
সন্ধা মিলাবার আগেই রাতজাগা পাখিদের আনাগোনা বাড়ে
নদীর পাশের চরাঞ্চলে তখনো লোকেদের ভীর
আকাশে চাদ ঝুলে, ঘাষের উপর জমে শিশির কনা
জোড়ায় জোড়ায় ঘুরতে আসা প্রেমিক প্রেমকারা তখন-
বাড়ী ফেরার টানে নেমে আসে নদীর কূলে
দুজোড়া পাখি ডিগবাজি খেলতে খেলতে-
হয়তোবা নীড় খুজে


আমি অপলক চাদ দেখি, আর হারিয়ে যাই সোনালী অতীতে
মায়ের কুলে আধশোয়া অবস্থায় চাদ দেখার অভিজ্ঞতা মনে পড়ে
আমি মুগ্ধ হয়ে আকাশের দিকে তাকি থাকি
পরপর দুটো বাদুর উড়ে যায়
তারপর আরেকটা, আরোও একটা
একদল পাখি নীড়ে ফেরার টানে নদীর উপড় দিয়ে পারি দেয় পথ
একটা দলছুট পাখিও দেখি
নিজেকেও আজ দলছুট মনে হয়


আচমকা মাঝির ডাকে সম্ভিত ফিরে পাই
হেলেদুলে নদীর কুলে আসি
চেপে বসি পাল তোলা ছোট্ট ডিংগিখানায়
আবারও ইট পাথরের জঞ্জালে নিজেকে বিলিয়ে দিই
শহুরে ব্যস্ততা আবারও গ্রাস করে আমায়!