*************আসরের কবিতা ও তার কাব্যিকতাঃ ১৮***************
কবিতাঃ  শরৎ স্বপ্ন
কবিঃ মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
প্রকাশিত তারিখঃ ২৬/০৯/২০১৭
***কবি ১ বছর ৩ মাস হল বাংলা-কবিতার আসরে আছেন। কবি আজ পর্যন্ত ২৭৯টি কবিতা এই সাইটে লিখেছেন। কবি আসরে নিয়মিত লিখছেন।
-----------------------------------------------------------------------------------
কবির লিখিত কবিতাঃ
শরতের রূপ       ফুটেছে অপরূপ
     কবির অনন্য কবিতায়
শ্বেত কাশ ফুল      বাতাসে খায় দোল
   ঝলমল করে ধরা সবিতায়।


স্নিগ্ধ শরতে        মনের পরতে
     বাজে দেবীর আগমনী সুর
শারদ প্রভাতে       উৎসবে মাতে
         তাড়ায়ে মহিষাসুর।


দীঘির জল         করে টলমল
       শাপলা শালুক ফুটে
রূপালী চাঁদ       পাতে মায়া ফাঁদ
    হর্ষে হৃদয় দুলে ওঠে।


কিষাণ হাসে         স্বপ্নে ভাসে
    শুরু হবে নতুন ফসল তোলা
হেমন্তে এসে        রিক্ততা শেষে
   ভরবে ফসলে শূন্য গোলা।
****** কবির এই কবিতাটির বিষয় খুব সুন্দর ও কাব্যময়। কবিতাটির কাব্য ভাবনা যথার্থ। কবিতাটি পাঠকের অনেক ভালোলাগা ও ভালোবাসায় পূর্ণ। কবিতায় কাব্যিকতার  প্রকাশ মেলে। কবির এই কবিতাটি পদ্য রূপে  ত্রিপদী ছন্দে লেখা।
-----------------------------------------------------------------------------------
পর্ব ও মাত্রা বিভাজনঃ
শরতের রূপ /      ফুটেছে অপরূপ = ৬/৭
     কবির অনন্য/ কবিতায়=৭ /৪
শ্বেত কাশ ফুল   /   বাতাসে খায় দোল=৬/৭
   ঝলমল করে /ধরা সবিতায়।=৬/৬


স্নিগ্ধ শরতে    /    মনের পরতে
     বাজে দেবীর/ আগমনী সুর
শারদ প্রভাতে  /     উৎসবে মাতে
         তাড়ায়ে মহিষা/সুর।


দীঘির জল  /       করে টলমল
       শাপলা শালুক/ ফুটে
রূপালী চাঁদ    /   পাতে মায়া ফাঁদ
    হর্ষে হৃদয়/ দুলে ওঠে।


কিষাণ হাসে   /      স্বপ্নে ভাসে
    শুরু হবে /নতুন ফসল তোলা
হেমন্তে এসে     /   রিক্ততা শেষে
   ভরবে ফসলে/ শূন্য গোলা।
*** কবির এই কবিতাটি আপাত ত্রিপদী ছন্দে থাকলেও কোনো আদর্শ ছন্দ মানা হয়নি। কবিতাটি পড়তে পড়তে অনেক স্থানে ছন্দ কেটে গেছে।
-----------------------------------------------------------------------------------
ছন্দ বিশ্লেষণঃ
ছন্দ রীতি- নির্দিষ্ট ছন্দে নেই। আপাত ত্রিপদী।
মাত্রা গণনার নিয়ম- কোনো ভাবেই আসে না।
পর্ব-  সমান নয়।
পঙক্তি- ৮ টি। সমস্ত পঙক্তি সমমাত্রিক ও সমপার্বিক নয়।
লয়- আঙশিক দ্রুত।
বিশেষত্ব- নেই।
কবিতার শ্রেণি- প্রকৃতির কবিতা।
----------------------------------------------------------------------------------
কবিতার নামকরণ—
কবিতার বিষয়ের সাথে নামকরণ যথার্থ। এখানে শরতের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
----------------------------------------------------------------------------------


কবিতার অর্থ-
শরতের রূপ অপরূপ ভাবে কবির অনন্য কবিতায় ফুটে উঠেছে। সাদা কাশফুল আজ বাতাসে দোল খায়। চারিদিক ঝলমল করে ওঠে। এই স্নিগ্ধ শরতে মনের মাঝে দেবীর আগমনী সুর বেজে ওঠে। শারদ প্রভাতে  যেন সবাই উৎসবে মেতে ওঠে। দিঘির জল  টলমল করে, শাপলা -শালুক ফোটে, রূপালি চাঁদ  যেন  মায়া ফাঁদ পেতে আছে। এই সব দেখে কবির মন আনন্দে দুলে ওঠে। অন্যদিকে কিষাণ হাসে আর স্বপ্নে ভাসে এই ভেবে যে নতুন ফসল তোলা শুরু হবে। ফসলে শূন্য গোলা ভরবে।
----------------------------------------------------------------------------------
কবিতা ও ভাব-
একদম ঠিক আছে।
----------------------------------------------------------------------------------
ভাষা প্রয়োগ-
অনেক ভালো।
-----------------------------------------------------------------------------------
অন্ত্যমিল-
ভালো। আর ও নজর দিতে হবে।
-------------------------------------------------------------------------------
ছেদ যতি-
প্রয়োগ ঠিক আছে।
--------------------------------------------------------------------------------
অলঙ্কারঃ
যথার্থ।
-------------------------------------------------------------------------------------
বানান-
ঠিক আছে।
------------------------------------------------------------------------------
অনুরোধ/ পরামর্শ-
আপনার এ জাতীয় লেখায় আসর আগামীতে আরও সমৃদ্ধ হবে আশা করি। ছন্দ বিষয়ে আরও নজর দিতে হবে।
-----------------------------------------------------------------------------------
******কবি আমার শুভেচ্ছা নেবেন। ভালো থাকুন।