শুভ্র যে দুচোখ তার; গায়ে নামাবলি,
হেমন্ত পড়েছে পাটে শরতের শেষ-
এমন ধারার মাঝে শোভিত সে বেশ,
ললাটে রচিত তব শুচি রসকলি ।
চাহুনি আকাশ পথে সাধনা নগর-
সম্মুখ শূন্য হেরি ভাবনা মোর পিছে,
তার পানে চেয়ে থাকা সেও জানি মিছে;
তনু সে দেহ খানি তনু তার অধর ।


হাতে নেই খঞ্জনি; নেই যে রাধা নাম;
মুখে তার কথা নাই স্বভাব বিহ্বল,
এমন মলিনতায় সে যে অবিরাম-
প্রকৃতির মাঝে সুন্দরী চির চঞ্চল ।
মোহিত সেই বৈষ্ণবী মিশে আত্মতনে,
নিজেরে অঙ্কন করে বড়ো সন্তর্পণে ।
                 -------