মনের গহিন অরণ্যে লাবণ্য এঁকে দেয় কে,
কাহার উপস্থিতি আলোর ফিনকি ছড়ায়
দূর করে আঁধারের জড়তা,
কাহার হাসির কলরব ঘুচিয়ে দেয় ভয়াল রাতের নিস্তব্ধতা।
কে সে? সে কি শুধু আমার কবিতা?


অমাবস্যা তিথিতে জোনাক পিদিম হাতে আসে কে,
কাহার আগমনী বার্তায় উজ্জীবিত হয় ঘাটের মরাটা,
কাহার আলতো ছোঁয়ায় শরীর ছেড়ে পলায়ন করে দুরারোগ্য ব্যাধিটা।
কে সে? সে কি শুধুই আমার কবিতা?


দুঃস্বপ্নের কোন এক রাতে রোদেলা স্বপ্ন বুনে যায় কে,
কাহার হাতে হাত রেখে নিশ্চন্ত হয় দিগ্বিদিক ছুটেচলা,
কাহার চোখে চোখ পড়ে গেলে থেমে যায় কথা বলা।
কে সে? সে কি শুধুই আমার কবিতা?


চৈত্রের খরায় উত্তপ্ত ধরায় বৃষ্টি ঝরায় কে,
কাহার একফোঁটা অশ্রুধারা, তপ্ত মরুর বক্ষদেশ করে শীতল,
কাহার রাঙাচরণ ছোঁয়ালে থমকে দাঁড়ায় উর্বশী তটিনীর ভরা কাটাল।
কে সে? সে কি শুধুই আমার কবিতা?


পাহাড় পর্বত বৈরী হাওয়া উপেক্ষা করে ছুটে আসে কে,
কাহার একটু অভিমান আশার শঙ্কা জাগায় আমার দুর্দিনে,
কাহার অনুরাগে হৃদয়ে জীবনের সঞ্চার ঘটায় মরণ ক্ষণে।
কে সে? সে কি শুধুই আমার কবিতা?


তাহার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে আমার এই চেয়ে থাকা,
কবিতা থেকে সে, আর যদি নাহি আসে
যদি না হয় তারে পাওয়া,
মরণের পরে কিছুই থাকে না
তাইতো আমার হারিয়ে যাওয়া।


                              ২৫/০৬/২০১৬