অনুভূতিরা প্রাকাশে বাধা পেতে পেতে মৃত প্রায়।
কিছু নামহীন মুমূর্ষু অনুভূতির কথা বলি,
তুমি তো জানোই কাহারু কুহরে অভাবের দিন গুলি কেমন যায়।
কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করে কাহারু কুহরের পোকা গুলি,
কতটা মুক্ত পোকা ওরা,
ওদের পাখার দৈর্ঘ্য-প্রস্থও তোমার জানা,
পায়ে কোন শৃঙ্খল নেই ওদের।
ওরা যখন ইচ্ছে আকাশে উড়ে, যখন ইচ্ছে জলে সাঁতার কাটে।
তুমি তো জানই সব,
কাহারু কুহরে যখন গভীর রাত
শীতের প্রোকোপে মুড়ি দিয়ে ঘুমায় পোকা গুলি,
তখন আনন্দে নাকি খুব বেশী কষ্টে নাক দিয়েও বের হয় বুলি,
এই অনুভূতি নাম যদি হয় নাক ডাকা,
তবে কি নাম দেব তুমি সেই অনুভূতির,
সামান্য কাঁথার ঝাপটাতে যখন ঝরঝর করে ঝরে পড়ে
কাহারু কুহরের খুটিহীন দেয়াল থেকে চুন সুরকী।
কি নাম দেবে তুমি সেই অনুভূতির?
যখন কাহারু কুহরের কোন পোকা,
গভীর ঘুমে হয়ে যায় বোকা,
পাশ ফেরাতেই সশব্দে কাটে দাঁতে দাঁত,
এভাবেই চলতে থাকে সারারাত,
দাঁতের গুঁড়ো পুরো বিছানা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।
দুই ঠোঁটের কিনারা ঘেঁষে খেজুররসের মত গড়িয়ে পড়ে লালারস,
ভেজা বালিশে রাত্রি যাপনের কি নাম দেবে তুমি?
কাহারু কুহরের অনুভূতি গুলো এমনি নামহীন হয়,
বিশেষ্য সর্বনাম বিশেষণ ব্যাকরণের কোনটাতেই ফেলা যায় না তাদের।


০৮/০১/২০১৬