যেদিন দেখবো চাঁদের আলো উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে নিয়মিত,
সেদিন ভাববো চাঁদটা বুড়ো হয়ে গেছে।
আর না হয় ভাববো আমি বুড়ো হয়ে গেছি,
আমার চোখ বুড়ো হয়ে গেছে।
যেদিন জোছনা রাতে খোলা মাঠে পায়চারী করার সময়,
দেখবো পায়ের ছায়া এলোমেলো পড়ছে।
ভাববো বুড়ো হয়ে গেছি, ঢের বুড়ো হয়ে গেছি।
কাউকে কাঁধে চাপিয়ে পার করার সামর্থ্য যেদিন হারিয়ে ফেলবো,
পাশাপাশি হাটতে বলার সাহস সঞ্চয় করতে যেদিন,
সরাবের পাত্রে মুখ ডোবাতে হবে।
সেদিন ভাববো বুড়ো হয়ে গেছি, ঢের বুড়ো হয়ে গেছি।
যেদিন দেখবো মাড়ি থেকে উঠে এসেছে দাঁত,
চুমুক দিয়ে গিলছি সব,
একান্ত সঙ্গী বিছানা এবং বালিশ,
চাহিবার ভাষা শুধু বুড়ো হওয়া চোখের অসহায় নালিশ।
সেদিন ভাববো বুড়ো হয়ে গেছি, ঢের বুড়ো হয়ে গেছি।
যেদিন বৃদ্ধা আর তর্জনী গুটিবে রাখবে নিজেদের,
সন্ধ্যা বাতি জ্বালিয়ে যাবে অন্য কেউ,
আমার আরতি ভেউভেউ কান্নার মত শুনবে তোমরা,
সেদিন ভাববো বুড়ো হয়ে গেছি, ঢের বুড়ো হয়ে গেছি।
আবার যেদিন তোমার পরনের লাল,
চরম অসহ্য লাগবে চোখে,
ক্ষেপা ষাঁড় করে তুলবে আমায়,
সেদিন ভাববো বুড়ো হইনি এখনো,
বয়সের ভারে শুধু ঝুলেছে চামড়া,
আর ক্ষানিকটা নুয়ে পড়েছে গাত্র।
ষাট-সত্তর,ওগুলো কিছুই নয়,
ওগুলো এখন কেবল সংখ্যা মাত্র।


১৮/০১/২০১৬