চোখ গেছে চলে, আমাদের কাউকে না বলে।
কি তফাৎ সেটাও বুঝি না, সুরমা-কাজলে।
দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে, বিবেক রেখে আড়ালে।
বিভ্রান্ত হই, ছুটে এসে কেউ পাশে দাড়ালে।
মৃত পিতা সৎকারে, কেউ ছোটে ভিড় ঠেলে।
সভ্য জাতি দেখি, তাকেও আতঙ্কবাদী বলে।
নিজের বুঝ ভালোই বুঝি, ভারি করি থলে।
চর্ম চোখের সাথে মনের চোখ গেছে চলে।
চোরের সাথে সখ্যতা ভালো বক ধার্মিকের,
নাকে সরিষা তেল মেখে ঘুম, ক্ষতি কিসের?
ক্লান্ত শ্রমিক দুর্গন্ধ, মেলে মাতাল অপবাদ।
ধারালো ছুরি, রক্তাক্ত করি নিজেদের হাত।
আধুনিক হয়ে দেখি, সরলকে করি গড়ল।
হাবুডুবু খাই, অযথাই ঘোলা করি জল।
সব ভাবি আমার, আমাদের ভাবি না ভুলে,
স্বার্থ লাভে পটীয়সী, ঠাঁই মিলছে না কুলে।
চর্ম চোখে ছানি, অন্তঃচোখ ঢেকে গেছে লোভে।
ঠকে ঠকে জর্জরিত আজ, হিংস্র হই ক্ষোভে।
গাছে কাঁঠাল আর গোফ পিচ্ছিল করি তেলে।
দেখি না কিচ্ছু, আসল চোখটাই গেছে চলে।


মোল্লাপাড়া, মণিপুর
১৬/০৩/২০১৬