আপাতত কিছুক্ষণ বৃষ্টি নামুক,
কিছু চোখ সব সময় কামুক।
যে গল্পটা বলতে চাচ্ছিলাম,
শ্রোতার আগ্রহ কিঞ্চিৎ ছিল,
গল্পটা ছিল এমন
ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলে যেমন।
সাংবাদিক কি সাংঘাতিক,
অনাহারী বৃদ্ধ বা দুঃস্থ,
রোগীদের মত যারা অসুস্থ।
কাতুকুতু দিয়ে কি মুখে হাসি ফোটে,
হাসি মাখা মুখের ছবিই যে লাগবে তার,
সরকারের টাকা অতো সস্তা না।
আশ্রমে বসে বসে খাও,
অথচ মুখটা বাংলা পাঁচ।
কাতুকুতু দিয়ে হাসাতে ব্যর্থ ছবিয়াল,
মনে মনে ভাবে .........।
আরো কিছুক্ষণ নামুক...।।


একজন শ্রোতা বলল, গল্পের তো কিছুই বুঝলাম না ভাই । তাকে সারমর্মটা বুঝালাম অল্প কথায়। একটা বৃদ্ধাশ্রমে সাংবাদিক ঢুকেছে । বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মুখে হাসি নেই। কিন্তু সমাজকে দেখাতে হবে তারা খুব ভালো আছে এখানে। ছবিতে তার হাসিমাখা মুখের দৃশ্য চাই । সাংবাদিক বলছে একটু হাসুন, মা জননী ছবি তুলবো। বৃদ্ধা বলল হাসিতো আসে না বাজান । কোন উপায় না দেখে সাংবাদিক কাতুকুতু দিয়ে তাকে হাসাতে বৃথা চেষ্ট করছে । বৃদ্ধদের শরীরে কি শালা সুড়সুড়িও থাকে না, মনে মনে ভাবে সাংবাদিক। কাতুকুতু দিতে দিতে তো বৃদ্ধা অচেতন হয়ে গেল তবু হাসলো না।
শ্রোতা শুনে বলে, এতো দেখি ভাই সাংঘাতিক ঘটনা ................।


মোরালিটিঃ
সমাজে কেউ অনাহারে অসুস্থ,
কেউ পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যস্ত ।


১০/০৮/১৬