পুরনো প্রিয় বইটিতে রাশিরাশি বালি
মলাট মেলেনি সেই শুরু থেকেই,
সূচিপত্র আদৌ দেখেছি কিনা মনে নেই।
অভিধান নামের সেই বইটি,
ধীরে ধীরে আলোকিত করলো মনের অন্ধকার অঞ্চলে।
সেদিন থেকেই বুঝেছিলাম শিক্ষার শেকড়,
অনেক তিক্ত উদ্ভিতদের মূল থেকেও তিক্ত।
বিষে দা, তখন মুখে হাসি ফুটিয়ে বলেছিল ওরে বোকা,
ও গাছের ফল যে ভারি মিঠে।
মিঠের ভীষণ লোভ নিয়ে মনে,
আজ বড়ই অন্ধকারে তোমার সাথে আলাপন,
আধারে ঢুবে যাওয়া তরীতে
আলোর চিটেফোটাও নেই।
এসো আলোক দস্যু একটু আলো লই
তোমার অঙ্গ থেকে।
একটা প্রিয় গ্রাম্য শব্দের ভুলে যাওয়া মানে খুঁজতে গিয়ে,
অভিধান নামের মহিয়সীকে আবার স্পর্শ করা,
বহুদিনের কামনা সিক্ত মস্তিক তখন জেগে উঠতে প্রায় ব্যর্থ,
তবুও মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে জেগে উঠে দেখি,
তুমি তখনো ঘুমোচ্ছ, ঘুমন্ত নিষ্পাপ মুখ দেখে,
জাগাই নি অনেক ভোর,
সকাল বেলার রোদ্দুর এসে ডেকে দিল বলে,
তোমার মস্তিষ্ক জুড়ে আমার পদচারণ।
গ্রাম্য সেই প্রিয় শব্দের ভুলে যাওয়া মানে টা,
দেখি তুমিও ভুলে গেছো।
অভিধানে লেখা নেই বলেই,
ভেবো না তুমি হারিয়ে যাবে।
এই শহুরে কোলাহলময় চার দেয়ালে ঘেরা গন্ডিতে,
কাহারু হয়ে থাকবে তুমি পৃথিবী জুড়ে,
শহরের ভিড়ে গ্রামে গঞ্জেতে।


১৬/১২/২০১৫