মনে আছে, তের? এরপর চৌদ্দ পনের ষোলো
অর্থাৎ এইট নাইন টেন, অত:পর ম্যাট্রিক।
তখন আমাদের চোখ তীক্ষ্ম, আমরা মাপ নিতাম
নাক ঠোঁট মুখের, কারো কারো বা বুকের।
কেউ কেউ প্যান্টের ইন আর শার্টের বোতাম খুলে
খুব করে বলতো আমি দর্জিই হবো রে,
ডাক্তার শালারা পুলিশের চেয়েও ডাকাত।।
কি বলিস? মনে নেই? সেবার তের এলো
বৈশাখী মেলায়, আমরা তখন এইট মানে থার্ড ক্লাস
পুতুল নাচলো, আমরা নাচলাম, আরো নাচালাম-
জানতাম এবার তোর মনে পড়বেই;
তের’র কথা কেউ ভোলে না’রে ভোলা।।
মনে আছে, ছাই আর বাতাস; ফু দিলে উড়তো কেমন?
আমাদের দুধ-ডিম খেতে বলতো নিয়ম করে;
মাছের গায়ে আঁশটে গন্ধ, ক্লাশরুমে নাকে লাগতো
মেয়েগুলিকে লেখা শিখাতো হারামি স্যার হাত ধরে।
ষোলোতে এসে বুঝলাম সবাই তের ভীষণ ফালতু ছেলে
ড্যাবড্যাবিয়ে চেয়ে থাকতো, সামনে দিয়ে দিদিরা গেলে।
মনে পড়েছে, তের? আরে তের মানে শুরুর কথা?
ব্লাকবোর্ড, ডাস্টার? চকের আকৃতি ভুলে গেলি?
হ্যা রে, গোড়া মোটা- আগা চিকুন, কিচ্ছু মনে নেই?
কাঠের কম্পাস, গোল গোল বৃত্ত, তিন কোণা ত্রিভুজ
ফোর্থ পিরিয়ড, টিফিন; সিঙ্গারা- সমচা, জ্যুস।
জ্যুস মানে, কমনরুমের জানালার পাশে পাউরুটি,
হ্যা সেই, তের! তের মানে একের পিঠে তিন
মনে আছে, বাম হাতে কী এঁকেছিলি সেদিন?
চোখ, হ্যা চোখই তো; তের মানেই দুষ্ট দুটি চোখ।


১৬/১০/২০১৭
আমবাগান, মগবাজার।