কারে আমি ঢিল ভেবে বারবার ছুড়ে ফেলি অন্ধকারে,
কিসের সম্ভাবনায় আবার তুলে আনি আলোতে তারে।
কারে আমি ভেঙে গুড়ো গুড়ো করি মাটির পাত্রের মত,
ভগ্নাংশ তুলে নিয়ে গড়তে থাকি তারে নবরূপে শত।
কারে আমি ঠেলে দেই খর স্রোতের মাঝে ডুবে মরতে,
ডুবিয়ে ভাসাই তারে, হাতটা বাড়াই আঁকড়ে ধরতে।
সে কে? সে কি শুধু আমার কবিতা?


কারে আমি আঘাত করে করে জল এনে দেই দু'চোখে,
কাঁদিয়ে হাসাই তারে আবার ভীষণ দুঃখ কিংবা শোকে।
কারে আমি তীক্ষ্ণ আচড়ে তিল তিল করে তুলিতে আঁকি,
সব রঙ ফুরিয়ে গেলেও তারে যত্ন করে তুলে রাখি।
কারে আমি শুন্য থেকে এনে বন্ধী করি সোনার খাঁচায়,
মুক্ত করে দেই তারে, দেই আবার যখন সে যা চায়।
সে কে? সে কি শুধু আমার কবিতা?


কারে আমি দুঃস্বপ্ন ভেবে ঘুম পাড়াই কন্টকশয্যায়,
স্বপ্নের ঘোর কেটে গেলে তারে চেয়ে মুখ ঢাকি লজ্জায়।
কারে আমি অকারণে অপরাধী করে কারাদন্ড দেই,
গ্রহণ করি মাল্যদানে তারে খেয়ালি পনা ঘুচতেই,
কারে আমি ত্রাণের সম্পদের মত বিনামূল্যে হারাই,
তারে পাওয়ার আশায় আবার রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াই।
সে কে? সে কি শুধু আমার কবিতা?


কারে আমি হারিয়ে ফেলি লক্ষ বার শব্দ বর্ণের ভিড়ে,
বর্ণদের যুদ্ধ শেষ হলেই আবার তারে পাই ফিরে।
কারে আমি কলুষিত করি বর্ণের গায়ে বর্ণ সাজিয়ে,
আবার বিজয়ী ঘোষণা করি তারে, ঢাক ঢোল বাজিয়ে।
কারে আমি বিদঘুটে সাজাই মাত্রাবৃত্তের অলংকারে,
তার বুকেই মুখ লুকিয়ে রাত যায় ছন্দের ঝংকারে।
সে কে? সে কি শুধু আমার কবিতা?


কবিতা থেকে সে, যদি নাহি আসে
যদি আর না হয় তারে পাওয়া,
না পাওয়ার বেদনা বুকে নিয়ে,
তাইতো আমার হারিয়ে যাওয়া।


০৬/০৭/২০১৫
ষাটফিট, মোল্লাপাড়া।