এভাবে আর কতদিন শোনাব মানুষকে
আমার বেদনার কথা?
এবার সবাই শুনুক, জানুক, বুঝুক
আমার রঙিন সুখের কথা;
অভয়ারণ্যে আমি কতটা সুখী আর
নির্জনতায় কতটা দুখী?
জন্ম যার বসন্তের মৃন্ময়ী প্রভাতে
কোমলপ্রাণ গর্ভে যার দশ মাস
দশদিন বেড়ে উঠা
সর্বভূক বেদনা আর কতটুকু
গিলতে পারে তাকে?
কতটুকুই বা ভাসাতে পারে কৃষ্ণতিথির
জোয়ারে?


ভালবাসায় দুঃখ থাকে না,
থাকে দুঃখের মত অনমনীয়
এক সুখ।
বিংশ শতাব্দীতে সর্বসুখী মানুষেরাই
অজস্র দুঃখ বহন করে চলে।


চোখের অবাধ্য অশ্রুজল বেদনার বহিঃপ্রকাশ
তবে বলি সুখেরও বহিঃপ্রকাশ হোক
সেই অশ্রুজল, বুকফাঁটা অনুচ্চারিত চিৎকার
কিংবা শরীরের পরিচর্যাহীন
কৃত্রিম হাসি।


অপরিমেয় সুখ সে মানুষের কাম্য নয়
যে মানুষ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে শরতের
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন বুনে কিংবা
যে কবি কবিতার শব্দে শব্দে
বেদনার প্রলেপ মাখে।
একটি গোলাপ নিভৃতে ঝরে যাওয়াতে
অজস্র দুঃখ থাকে কিন্তু একটি ফুলের বাগান
নষ্ট হলে কি আসে যায়?
কি বা কষ্ট থাকে তাতে?
যার ঝরেছে হৃদয়ের সেই গোলাপ,
নষ্ট হয়েছে ফুলের বাগান, তিনি এখন
দুঃখ নামক সুখে মুটামুটি সুখেই আছেন….।।