হে মোর মাতৃভূমির নিঃশঙ্ক  নির্ভীক সন্তান,
দেখবো এবার  প্রয়োগকালে তুমি কেমন অনির্বাণ?  
মা তোমায় জন্মদিয়ে অহংকার করে সদা বলে,
         তুমি মহীধর সম মহান।
তবে অকস্মাৎ অন্তরালে লুকিয়ে আছো কেন আবাদ্ধ  অাবাসে?
অভাগা অবনীর অবয়বে শূল বদ্ধ   ক্রন্দনের ধ্বনি শোনো বাতাসে,
  অভীক কবি হয়ে তব ভৈরবী রূপ দেখতে এলাম অবশেষে।


আজ স্বদেশ স্মরণে স্তম্ভিত,
অনাহারে নিবীর্য জনতা উন্মাদিত,
লোহিত রক্তের  স্রোতে ক্ষিতি ক্ষরিত।
এখন, লহরীতে উত্তল তটিনী,
মহাকালের অট্টহাসিতে কম্পিত মেদনী,
দেহান্তের জম ধরেছে যামিনীতে বিধ্বংসিত রাগিনী।
ছিল যতো স্বদেশে সন্ত্রাসী,ভিনদেশী,রাজাকার,জঙ্গি,
         মোহতে ডুবে বাজাচ্ছে মাদল,
নিবীর্য জনতার চকিত তৃষিত অন্তরে তা দেখে সাইক্লোনে খায় দোল।


তবে হে মায়ের মহীধর সম মহাবীর !
রাম হয়ে রাবণের বক্ষে গাঁথো তীর।
কেন আছো এখনো অন্তরে ব্যথাকে বিমূর্ত করে দাঁড়িয়ে?
ছুটে চলো এবার মারুতে মিশে দুর্গম পথে,
           কান্তার-মরু পেরিয়ে।
আজ খুলে দাও দর্শনেন্দ্রিয়র দুয়ার,
    মায়ের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলো,
আমি ওদের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্ব করতে ধরবো বাহুতে তলোয়ার।


হে বীর !
তবে থেকোনা  আর লুকিয়ে  অন্তরালে,
নির্ভীক কবি করছে তোমায় অপমান,
নিবীর্য-ভীরু-কাপুরুষ তোমায় বলে।
যারা বুক পেতে ঝরিয়ে গেছে লোহিত রক্ত,
তারাও বলে গেছে মাতৃভূমি স্বাধীন হবে,
        হবে শক্র মুক্ত।
আবাদ্ধ কারাগারে বন্ধী হয়ে যারা দেহান্ত হয়েছে,
মা আমাদের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ তারাও বলে গেছে।
তবে,কেন দিয়েছে তারা অলক্ষ্যে জীবন বলিদান?
আজ তোমায় আমি করবো পরীক্ষণ,
দেখি তুমি কেমন মহীধর সম মহাবীর,
           কেমন শক্তি মহান।
///
উজ্জ্বল সরদার
দাকোপ -খুলনা
~~~~~~~~~~~~~~~★