আজ আমার বাড়িতে আমার ছেলের বন্ধুরা এসেছে।
ঐশী,মৌমিতা,সানি আর রিসান।
বাড়ির পেছনের মেহগনি গাছটার নিচে বসেছে ওরা।
আগে এখানে একটা ভাঙ্গা ইটের দেয়াল ছিলো।
আজ নেই,থাকেনা!


আমি জানালা দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে ওদের দেখছিলাম,
যেন আমি একটা ধূসর পেঁচা,
দিনের আলোয় বাইরে আসতে ভয় পাই।


ওরা কি নিয়ে যেন কথা বলছে,হাসছে
আবার মাঝে মাঝে কি নিয়ে যেন তর্কও করছে।
এর ফাঁকে মুসকান এসে ওদের চা,বিস্কুট দিয়ে গেলো।
ওরা আবার মেতে উঠেছে।
কি সুন্দর,কি শান্তি!
মনে হচ্ছে শেষ বিকেলের সবটুকু আলো এসে পড়েছে
আজ এই মেহগনির ছায়ায়।


ওদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ এক ফোঁটা পানি এসে পড়ল গালে,
কার জন্য জানিনা।
পরক্ষণেই যেন বুক ভেঙ্গে বন্যা আসার উপক্রম।
হৃদয় আমার হো হো করে উঠল।
ইচ্ছে করছে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে।


এই যে এখানে এই মেহগনির ছায়ায়,
এই ভাঙ্গা ইটের দেয়ালের উপরে বসে,
আমি,লাবণ্য,রজন্ত,মাসুদ আর সোনিয়া।
কত কথা কত হাসি কত গান।
আজ নেই,থাকেনা!
জানি এরকমি হয়!


থাকে শুধু বুক ভরা এক আকাশ ছবি আর এক আকাশ মেঘ।
আর সেই মেঘের ভিতরে প্রচন্ড প্রসব বেদনা
এই বুঝি জড়ায়ূ ফেটে বেরিয়ে আসবে বৃষ্টি
ঝরঝর করে ঝরবে সারা সন্ধ্যা,
আজ এই মেহগনির ছায়ায়।