মহাকাশ আজ শারদ পূর্ণিমার
   শশিপ্রভার স্বচ্ছ আলোয় উজ্জ্বল!
আকাশে তারকারাজি যেন
   আতশ বাজির ঝলক!
রজনী অপূর্ব সাজে উদ্ভাসিত।


মহা খুশির দিন আজ!
   মা লক্ষ্মীর পুজো,পুষ্পাঞ্জলি।
পাঁচালি পাঠ শ্রবণ প্রণাম,
   পুজোশেষে প্রসাদ বিতরন।


মা লক্ষ্মী পূজিত হন আশ্বিন
   মাসে শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে,
প্রতি বৃহুস্পতিবারেও মা পূজিত হন।
   ধরনীতে মা লক্ষ্মী- কোজাগরী,
মহালক্ষ্মী নামে ও পরিচিতা।


ঘটে আঁকতে হবে সিঁদুরের স্বস্তিকাচিহ্ন,
   দিতে হবে ঘটের উপর আম্রপল্লব,
হরিতকি কিংবা কলা, ফুল।
   মাকে নিবেদন করতে হবে
ফুল ফল মিষ্টি নৈবেদ্য ধূপ দীপ ইত্যাদি।
   ঘরে আলপনায় আঁকা হবে মায়ের পদচিহ্ন।


ধন জ্ঞান শীলেরই বিকাশে মা,
   দেবী শ্রী সৌভাগ্য সমৃদ্ধির।
সৌন্দর্যরূপিনী ত্রিলোকজননী,
   ভগবান বিষ্ণুর সহধর্মিণী।
পেঁচা মায়ের বাহন।
   মায়ের প্রতীক ধান চাল অন্ন।


যাম্যতে পাশ অক্ষমালা,
   সৌম্যতে পদ্ম অঙকুশধারিনি
পদ্মাসনে উপবিষ্টা। শ্রী, ত্রিলোকের
   জননী গৌরবর্ণা, সুন্দরী,
সর্বালঙ্কারভূষিতা।
   ব্যগ্রহস্তে স্বর্ণ পদ্মধারিনী এবং
দক্ষিণ হস্তে বরদানকারী দেবী,
   গৃহতে যিনি গৃহলক্ষ্মী।


মা লক্ষ্মী আসবেন বৈকুণ্ঠ ছেড়ে,
   আসবেন ভূপৃষ্টে আমাদের
বিত্তশালী করতে।
   মা আসবেন পূজারিদের ধনসম্পদ দান,
পরিবাবারের মঙ্গল কামনা করতে।
   এই রাতে মা তাঁর ভক্তদের
দ্বারেদ্বারে পা রাখবেন!
   ভক্তরা ও রাত জাগবেন মায়ের অপেক্ষায়-
মা আসবেন সুখ সমৃদ্ধির
   উপহার নিয়ে।।


তাং - ০৩/১০/১৭