কুয়াশা ঘেরা পথখানি মোর
সাদা চাদরে মোড়া যেন এই ভোর ।
এই কুয়াশা ঠেলে এগোতে হবে
এক মাইল গেলে পাঠশালা তবে ।
উত্তরে হাওয়া বইছে সো সো জোরে
আমরা কাঁপছি থর থর করে ।
হাফ প্যান্ট আর একটা সোয়েটার
মাথায় টুপি কারো বা চাদর আবার ।
পাঠশালাতে গিয়ে বই খাতা খুলে
বইয়ে তে রাখিনা হাত হাত নিই তুলে ।
কেউ রাখে হাত বইয়ে এই ঠান্ডায়
চাদরের ভেতর থেকে হাত বাইরে না যায় ।
মুড়ি মাড়ি দিয়ে বসে বইয়ের দিকে তাকায়ে
মনে ভাবি ঠান্ডা আজ পড়েছে জাকায়ে ।
মনে হয় সূর্যি মামা কোথায় গেলে লুকিয়ে
ওর যত ধার দেনা সব দেই চুকিয়ে ।
পাঠশালা ছুটি হলে ফিরি যে যাহার ঘরে  
যেতে হবে স্কুল ঠান্ডা জলে স্নান সেরে ।
গ্রীষ্মকালে যেমন স্কুল গরমের ছুটি পাই
শীতকালে ও আমাদের ঠান্ডায় ছুটি চাই।


শীতের রাত নাম মাত্র পড়াশোনা করে । মায়ের কাছে উনান এর ধারে গিয়ে বসে আগুন পোহানো । আর মা রুটি করছে আজকে রুটি আর গুড় খেতে বড়ো ভালোবাসি  কিন্তু গুড় জামা কাপড়ে লেগে যায় খেতে খেতে সোয়েটারের হাতা তে এগুলো আমার একদম ভালো লাগে না । জামা কাপড় চ্যাট চ্যাট করে  তারপর খেয়ে দেয়ে লেপের ভেতরে ঢুকে শুয়ে পড়ি । ভাই যদি পরে এসে আমার ওই লেপের ভেতরে শোয় তবে দিই বকুনি ঠান্ডা হাত পা আমার গায়ে যেন না লাগে । তারপর ঘুম সকাল হওয়ার আগে জানালার ওপার থেকে নাম ধরে ডাকে ওই আজকে যাবিনা । কোথায় যাবার কথা না জিজ্ঞেস করে ঘুম ঘুম চোখে বলি হুম দাঁড়া বলে আস্তে করে চাদর টা ঢেকে মাথায় কুয়াশা ঠেলে চলেছি আমি আর আমার পাড়ার এক ছেলে কোথায় যাচ্ছি যাচ্ছি পথের ধারে খেজুরের গাছে রস ভরা ভার নামিয়ে রস খাবো । যারা এই ভাঁড় বেঁধেছে তারা এখন আসে নি ভাঁড় নামাতে আমরা এই ভার নামিয়ে রস খেয়ে আবার ভাঁড় গাছে তুলে বেঁধে চলে যাবো । এতো কুয়াশা আমাদের ঘিরে চার পাঁচ হাত গোলাকার করে তারপর কিছু দেখা যাচ্ছে না  তার পর বাড়ি ফিরে পাঠশালায় যেতে হবে আবার ফিরে স্কুল স্কুলে যাবার সময় এক ঘটনা স্নান করতে চাইতাম না । ঠান্ডা জল পুকুরে কে নামবে জলে ঘাটের ধরে অনেক্ষন ধরিয়ে থাকতে থাকতে লাফ দিয়ে পড়তাম আর হুড়মুড়িয়ে উঠে আসতাম জল থেকে।।