বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" জমিদারের ছেলে ছিল তাই লিখেছেন
আমরা চাষ করি আনন্দে।  একজন চাষী কোনোদিন চাষ আনন্দে করে না। কারণ বীজের দাম, সারের দাম, হালের খরচ, সেচের খরচ, আর চাষীর দিন মজুরের হিসাব করে মোট যা খরচ করে। ফসল বিক্রি করে তার ২৫ শতাংশ লাভ থাকে আর ৭৫ শতাংশ খরচ। আর এই খরচ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর কারণে যদি ফসলের ক্ষতি হয়। তবে চাষী কে ওই মোট খরচ ঋণ মেটাতে মাথায় হাত পরে যায়। আর আমাদের কবি লিখেন আমরা চাষ করি আনন্দে। এখানে কবি যদি আমাদের মতো চাষীর ছেলে হতো তবে হয়তো এমন কবিতা লিখতো না। যদি এখনকার চাষীর ছেলে হতো তবে এমন লিখতো -


আমরা চাষ করি ঋণ করে
কৃষ্ণ কামাল


আমরা চাষ করবোনা
এই হাতে হাল ধরবো না।
বাইরে দিন মজুরি করবো
তবু চাষী হইয়া নাহি মরবো।
আমাদের এই চাষীর গল্প
শুনবে কি আজকে অল্প।
কতো কষ্টে বীজ বুনি
ঋণ কইরা সার ওষুধ কিনি।
সেই ফসল বেচি বিশ টাকায়
সকল ফসল পাইকারি নেয়।
সেই ফসল বেচে চল্লিশ টাকা দরে
কিনলো বিশে বেচে চল্লিশ করে।
যারাই কেনে তারাই ভাবে    
এই চল্লিশ টাকা চাষীরা পাবে।
আমরা কতো কষ্টে ফসল বুনেছি
কবে ফলবে ফসল দিন গুনেছি।
আজ সেই ফসল বিশ টাকা দেয়
কেউ কষ্ট না করে বিশ টাকা নেয়।
দুঃখে কষ্টে  দিন কাটে সকাল হতে সন্ধে
কবি লিখেছেন আমরা চাষ করি আনন্দে।