আজ একুশে ফেব্রুয়ারী
এমন একটি দিনে খোকা ফিরেছিল বাড়ি ।
খোকা ফিরেছিল ঠিকই-
কিন্তু ও খোকা ছিল না, ছিল খোকার লাশ ।
যতক্ষনে বাড়ি এসেছে,
হয়তো ততক্ষনে স্বর্গে হয়েছে ওর বাস ।
আমি অশ্রুসজল নয়নে গিয়েছিলাম কাছে
খোকা যেন মোর বিজয়ের হাসি হাসে ।


একদিন বলেছিল খোকা
মাগো এই ধরায় নও তুমি একা ।
কই খোকা তো কথা রাখেনি আমি আজ একা
ধোকা দিয়ে আমায় সেই কবেই হারিয়ে গেছে খোকা ।


একদিন সকালে খোকা বলেছিল...
মাগো আমি যাচ্ছি তুমি দোয়া করো
যেন ফিরে আসতে পারি তোমার কোলে আবারো ।
খোকা চলে গেল আমি একা
সোনালী দাড়িয়ে ছিল দুরে, করতে ওর সাথে দেখা ।
সোনালী বলেছিল আর ক’টা দিন থেকে যাও
খোকা একটা গোলাপ হাতে দিয়ে বলেছিল তুমি এটা নাও ।
সে দিন দেখেছিলাম ওদের চোখে আগামীর স্বপ্ন,
যেন ওরা দু’জন একই সূতাই গাথা একটি মালা অভিন্ন ।


খোকা চলে গেল,
এতটা বছর চলে গেল খোকাতো আর না এলো?
আজ আর সোনালীর চোখে স্বপ্ন নেই,
নেই আর সেই হাসি, সেই গোলাপ !
সেই কবে-ই হয়েছে বাশি ।
আজ আমি একা, সোনালীও একা
জানি আর কভু পাবো না খোকার দেখা ।


একুশ এলেই মনে পড়ে খোকার কথা
হাজারও দুঃখ বুকের মাঝে মনে খোকা হারানোর ব্যাথা ।
আবার ভালো লাগে দেখি এই দিনে
সোনালীর হাতে ফুল যাচ্ছে খোকার স্মরণে ।
খোকা গিয়ে বাংলা ভাষা এসেছে
মায়ের ভাষায়  ছেলে মাকে ভালবাসে ।


আজ সেই একুশে ফেব্রূয়ারী
আজ আর খোকা ফিরবে না বাড়ি ।
না ফিরুক,মায়ের ভাষাতো ফিরেছে
সোনালী বাংলা ভাষায় বুক বেধেছে ।
খোকা ঘুমায় ঐ কবরে
একুশ এলেই খোকাকে মনে পড়ে ।