এখানে শ্রাবণ শরতের গান গায়
নদী তীরে কাশবন বাতাসে দোল খায়
শারদীয়ার বার্তা বয়ে নিয়ে আসে একরাশ প্রত্যাশা ।


এখানে শ্রাবণ মেঘের ওপাড়ে নীলাকাশ ছুঁয়ে যায়
ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনে গুনে প্রহর গুনগুন গায়
স্নিগ্ধ ভোরের শিউলী তলার অনুরাগে হিমেল ঊষা ।


এখানে শ্রাবণ ঝিরি ঝিরি ঝরে বাতাসে বিদায়ের বার্তা
ক্ষণে ক্ষণে গগনে চমকায় বিদ্যুৎ কন্ঠে কবিগুরুর কবিতা
লাবনীর ঘরে শ্রাবণী রাতের ঘোর অন্ধকারের অমানিশা ।


ওখানে শ্রাবণ ধারা বাঁধন হারা অনিদ্রার অভিশপ্ত রাত্রি
বেদুইন প্রতিদিন স্রোতে স্রোতে ঋণ দুরের নিয়ত যাত্রী
এপাড়ে একাকার খাল বিল জলাধার বর্ণনাতীত দুর্দশা ।


ওখানে শ্রাবণ অযাচিত যাপন অহরহ না-পাওয়ার বেদনা
বিষণ্ণ বদন নিরন্ন বোধন পাশাপাশি অঙ্কুরের তুল্যমূল্য যাতনা
এক বুক আশা এক গুচ্ছ প্রত্যাশা আর এক মহাকাশ হতাশা ।