সারা বছর ষ্টোর রুমের পাশে
পরিত্যক্ত কিছু কাঁথা বালিশে
উচ্ছিষ্টে অবশিষ্টে উদর পুরে
মৃত্যুটা আসে না বলে বেঁচে থাকে
যে রমনী,


অবহেলার গ্লানি বুকে পোষে
আঁচলটা যার অশ্রুতে ভাসে
নির্জনে নিভৃতে রোদন করে
সন্তানেরই মঙ্গলে ঈশ্বরকে ডাকে
যে রমনী,


আমার সন্তানের একাকীত্বে
চৌকিদারি করতে করতে
স্নানটা সেরে ঠাকুরঘরে
সময়মতো পূজো দেওয়া ভুলে গেছে
যে রমনী,


হঠাৎ করে একদিন মা' হয়ে উঠে
অসামান্যা গৃহিনী, গরীয়সী বটে
ফ্ল্যাশের আলোতে বসিয়ে
চুমু খেয়ে কৃতজ্ঞতা পেয়ে খুশী থাকে
যে রমনী,


আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবসে
আমার সে জননী হাসে,
গর্বে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে
উৎপাদিত ফসলেরা উন্নাসিত মুখে
"মা" বলে ডাকে ।