পিংকি তোমায় মনে পড়ে,
কলেজ চত্বরে
প্রথম যেদিন দেখেছিলাম নবীন বরনে,
গোলাপ রঙের শাড়ীর দ্যুতি
মুক্তো ঝরা হাসির জ্যোতি
সাগর জলে খেলা করে নীলকমল আঁখি ।
এক পলকের বাঁকা চাহনী,
করলে ঋনী
আমায় হৃদয় ছোঁয়ে দিলে প্রেমাঙ্গিনী,
হালকা পাতলা গড়ন
চঞ্চলা হরিণী চলন
বিমুগ্ধ অবিভূত হয়ে চেয়ে থাকি ।
পিংকি তোমায় মনে পড়ে,
সেদিন দুপুরে
ষ্টেডিয়ামের গ্যালারীতে নির্জন প্রান্তরে,
পাশাপাশি বসে দুজন
ডালে ডালে পাখির কূজন
কনিষ্ঠায় ঠোঁটের কোমল পরশ মাখি ।
লম্বা ছায়ার বিকেল বেলায়,
আবেশ ছড়ায়
পাশাপাশি হাত ধরে পা রেখে পা'য়,
রেষ্টুরেন্টের কেবিনে
আধো আলো অঙ্গনে
রঙিন স্বপ্নে বিভোর কাব্য লেখালেখী ।
পিংকি তোমায় মনে পড়ে,
বছর দুয়েক পরে
পাঠের বেলা চুকিয়ে স্মৃতির ঝুলি ঝেড়ে,
সুন্দর খামে ভরা চিঠি
সঙ্গে দুঃখ মুঠি মুঠি
বিদায় নিলে বরের ঘরে উপহার রাখি ।
আজ বিকেলে তোমায় দেখি,
বিগ বাজাড়ে
কেনাকাটায় ব্যস্ত ছেলে হাতে নিয়ে,
নাদা পেটে ভাঁজ পরেছে
সিঁথির সিঁদুর মুছে গেছে
বিহ্বল চোখে আড়াল থেকে চেয়ে থাকি ।
পিংকি তোমার মনে পড়ে ?
পূজোর বাজাড়ে
নীলাম্বরী শাড়ীটা তোমায় দিলেম,
তুমি দিলে সাদা শার্টটা
সঙ্গে কলম একটা
আজও সেই কলমেই আমি কাব্য লিখি ।
(আসরে পিংকি নামের এক বন্ধুকে পেয়ে জীবন চলার পথের ছন্দহীন কটা দিনের স্মৃতি কথা ভেসে উঠল চোখের সামনে, লিখে দিলাম ক'লাইন রইল অব্যক্ত লক্ষ কোটি শব্দ )