আমি খাঁ খাঁ রোদ্দুরে চৈত্রের দুপুরে
জ্বলে পুড়ে ছারখার জনতার আবিষ্কার
পৌষের মেলা প্রাঙ্গন মিলনের দরবার ।
সারাটা বছর ধরে আমার বুক জুড়ে
নাই কোন চাষবাস গরুমোষ খায় ঘাস
রাখাল ছেলে প্রেমানন্দে তরুছায় বাজায় বাঁশ ।
রাত দুপুরে জ্যোৎস্না স্রোতে কথা বলে পেত্নী ভুতে
বর্ষা কাল বড়ই অকাল জেলের জাল সন্ধ্যা সকাল
শুকোতে দেয় মাছ শুকায় ভ্যাপসা গন্ধে হই নাকাল ।
অপেক্ষার দিন গুনে গুনে জোয়ার ভাটার টানে টানে
শীত মাখা এই পৌষ দুপুরে আমার বুকে রক্ত ঝরে
হাজার লোকের ভীড় সামলাই সুখের স্মৃতির স্বপ্ন পরে।
মাথার চুলের জটায় জটায় দোকানীরা পশরা সাজায়
কেনা কাটার ভীষন ধুম প্রশাসনের নেই ঘুম
দিকে দিকে ধোঁয়া করে সন্ন্যাসীরা দেয় হোম ।
পিঠে পুলি মুড়ি মুড়কি পোলাও মাংস মিষ্টি নিমকি
চেনা জানা খেলনা গয়না  হরেক রকম সোনাদানা
খুকীর বায়না বাগ্মী ময়না ছোটন খোঁজে রোবটখানা ;
নবদম্পতি কপোত কপোতী মাঝ বয়সী লয়ে স্মৃতি
ভীড় জমিয়ে দর কষাকষি পরস্পরে ঘষাঘষি
চুরি চামারি রেষারেষি সবই চলে পাশাপাশি ।
টাকা পয়সা ভুরি ভুরি দেদার হচ্ছে ছড়া ছড়ি
অনাহারী কংকালসার ভিক্ষুক মায়ের সংসার
থালা হাতে গোটা চার ঠাঁয় দাড়িয়ে প্রবেশ দ্বার ।
সাক্ষী আমার পৌষের মেলা শুভ লগন শেষ বেলা
হাতে হাত দুজনার প্রেম অনুরাগ অভিষার
ক্ষুদার্তের হাহাকার ধর্মাধর্মের ব্যাভিচার ।