আমি রোজ নিয়ম করে সকালে স্নান করি
লিপষ্টিকে ঠোঁট রাঙিয়ে আতর মাখি গায়ে,
আভরনে জড়াই দেহে নানান রঙের শাড়ি
হাতে শাঁখা নাকে নোলক নূপুর বাজে পায়ে,
রোজ বিকেলে সুগন্ধি পান চিবুই গাল ভরে
লাল সিঁদুরে কপাল হাসে আলতা রাঙাই পায়ে,
তিথি গোনে লগন দেখে ঢালা সাজাই ফুলে
সাধ্বী সেজে পূজো দিই যাই দেবতালয়ে,
সাঁজের পরে আপন ঘরে আবছা আলো জ্বেলে
দেহটা মোর বিলিয়ে দিই সর্ব স্বত্ব দিয়ে,
ভালবাসে যেমন ইচ্ছে যা খুশী তা করে
আমার প্রেমের সংজ্ঞা লিখি শুধু দেহ দিয়ে,
তোমরা যেমন নাগর সুখে অশ্রু ঢাক নীরবে
আমার অশ্রু ঢাকা পরে টাকার পাহাড় দিয়ে,
খদ্দের আমার হয় আলাদা নিত্য নৈমত্তিক
ফারাক শুধু এ টুকুতেই পতিতা আর নারীতে ,
তবুও আমি ভ্রষ্টা নারী কুলটা সমাজ সংসারে
সতী সাধ্বীর হিসেব লিখি আড়ালে আবডালেতে ।