আজকে দিনের কিছু সময়  গেল অপলাপে,
সন্ধ্যে সাড়ে ছ'টায় বন্ধু বরের প্রশ্ন
       "আজ কে কি দিবস রে ?"
খেয়াল হলো, দিনটি কিন্তু যায়নি বৃথা মোটে !
                  বছরটা তিনশত পঁয়ষট্টি দিনের বটে ।
আমার বৃদ্ধা মা ঘরে অন্ধকারে হাতরে মরে
নাতি পতি'র বালাই নেই শুধু ছেলেটার মঙ্গল
                   কামনা করে ;
বাবা চশমা এঁটে চোখে রোজ খবরে চোখ রাখে
আজকে কোথায় চাকরি চাইবে বেকার শিক্ষিত্
                   ছেলে ঘরে ।
যেদিন বেলা গড়িয়ে যায় ঘরে চাল বাড়ন্ত
আত্মীয় এলে বলে আজ উপোষ দিলেম
                   বয়স যে পরন্ত,
বৃদ্ধাশ্রমের গান শোনে ভাবনার দিগন্ত
সে ও অনেক ভালো যদি জুটত কাজটা
                  বেঁচে যেতো আত্মজ ।
সন্ধ্যা মাসীর মাসিক ভাতা আসছে না মিয়মিত
বয়েসের ভারে ন্যূব্জ দেহটারে আমায় দিল সঁপে
                  বাপু, খবরটা নিয়ে আয়তো ।
ঘন্টা দেড়েকের কসরৎ শেষে একটা হিল্লে করে
সন্ধেটায় বেশ ফুরফুরে মন দিনটার কথা ভেবে
                   কিছু একটা ভাল করেছি অন্তত ।
বাকী তিনশ চৌষট্টি দিনের মতোই হতাশার ঘোরে
আমার ঘরের অন্ধ প্রবীণা, পঙ্গু প্রবীণের চোখে মুখে
                একটু স্বস্ত্বি এঁকে দিতে ;
ঘরে ফিরে প্রবীণ-প্রবীণার ফ্যাকাশে মুখটা দেখে
ইচ্ছে করে আকাশ থেকে পেরে আনি সুখটা
                  এই প্রবীণ দিবসে ।।