কেমন আছেন কবি বন্ধুগন ? আশা করি সকলেই এই শীতের দিনে আমার মতোই ঝাঁকিয়ে শীতের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন । সে যা হউক, প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে চলছে , চলবে । প্রথমেই সকলকে জানাই বাংলাদেশের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, এই বিজয়ের আনন্দের পাশাপাশি আমরা যারা এপার বাংলার "বাংলা ডট কম" এর সৌখিন কবি রয়েছি (অবশ্যই সকলে না) আমার মিলে কিন্তু বেশ একটা আনন্দময়, উদ্দীপনাময়  সৃষ্টির উল্লাসে "কবি সম্মেলন" করে ফেলেছি। যদিও এ নিয়ে আগে থেকেই বেশ কিছু লেখা লেখি হয়েছে, তবে আজকে সম্মেলন থেকে ফিরে সোজা কম্পিউটারে বসে নিজ কাঁধে দায়িত্ব তোলে নিলাম, সম্পুর্ণ বিষয়টাকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য । যদিও এ নিয়ে নন-অফিসিয়ালি আমাকেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । কেননা আমি যখন সৌমেনদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, ছবিগুলো আসরের কবিদের সঙ্গে শেয়ার করা যায়, তখন খুব সুন্দর একটা বুদ্ধি বের করলেন । বললেন আপনি আমাদের এই সম্মেলন কে নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলুন, আমি আবৃত্তি করে ইউটিউবে ছবিগুলোর ভিডিও করে দেব কেননা, আলোচনা"য় তো আর ছবি পোষ্ট করা যায় না । অতঃপর, সে ভাবেই এগোচ্ছি ।


      এবারে আসা যাক্ মূল প্রসঙ্গে । আমি কোলকাতায় পৌছেই কবি সুখেন্দু মাইতিকে ফোন করে যোগাযোগ করলে জানতে পারি, ১৭/১২ তে একটা প্রস্তুতু সভা হচ্ছে, আমি যেন সেখানে থাকি । ১৭/১২ তে সুর্য্যসেন ভবনে গিয়ে দেখি সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত রয়েছেন সুদূর মোম্বাই থেকে কবি বিকাশ দাস, বেঙ্গালুর থেকে কবি রিংকু রায় এবং শিলিগুরি থেকে উমা চক্রবর্ত্তী (সকলেই আমার নমস্য) সহ আরো অনেকে । উদ্যোক্তার মূখ্য ভূমিকায় কবি অভিজিত রায় (নীল অভিজিত) ও কবি রুমা চৌধুরী, উনাদের সঙ্গে সর্বাঙ্গীন সহযোগীতায় পেলাম কবি অভিজিত দা'র স্ত্রী শ্রীমতি অদিতি রায় (যিনি একজন ভাল গায়িকাও বটে) এবং কবি রুমা দি'র  প্রানবন্ত বর । এছাড়া সুখেন্দু মাইতিতো রয়েছেই । কবি নীলোৎপল ভট্টাচার্য্য, দিলীপ চট্টোপাধ্যায় সহ কোলকাতার বিশিষ্ট কবি ও প্রকাশক শ্রী শমীক জয় সেনগুপ্ত ও উপস্থিত ছিলেন সেখানে । প্রাথমিক ভাবে আমাদের আমাদের অনুষ্ঠানের প্রধান অথিতি বাংলা এযুগের শ্রেষ্ঠ কবি শ্রীমতি কৃষ্ণা বসুকে নিয়ে কিছু আলাপ আলোচনা সহ এই সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী কবিদের কবিতা নিয়ে একটা বই প্রকাশ করা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত আলাপ আলোচনা শেষে  গ্রুপ ছবি তোলে  কবি অভিজিত দার আপ্যায়নে সবাই মিলে স্পেনসার-এ গিয়ে চা-টা খেয়ে যে যার গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম। এই সময়ের মধ্যে কবি বিকাশ দা'র প্রাণচঞ্চল আলাপ আলোচনা, নীলোৎপল দা'র গান, দিলীপ দা'র অভিবাভক সুলভ ব্যবহারে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে হোটেলে ফিরে আসার পথেই পেলাম কবি সৌমেন দা'র ফোন এবং শেষ পর্যন্ত গড়িয়া গিয়ে আমার প্রিয় কবির সঙ্গে চা যোগে সাক্ষাৎ সেড়ে নিলাম।


     লেখাটা কি অনেক বেশী বড় হয়ে যাচ্ছে ! ঠিক আছে, আজ তাহলে এই প্রস্তুতি সভা পর্যন্তই বললাম । সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগামীকাল বাকী কথাগুলো নিয়ে আরেকটা পর্ব হয়ে যাবে । সবাইকে জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা ।