কিষানীর ঝলসা পা - সোহাগের হাস্নাহেনা
কত যে গ্রীষ্ম বর্ষা - বিগত বিস্মৃত অজানা,
বসন্তে যার বাড়ির পাশে কোকিল আসেনা
শিমূল পলাশ কৃষ্ণচূড়া ফুল তার অজানা,
বস্তা বস্তা কদম ফুলের পচা গন্ধের গলিটাই আজ
ভীষন চেনা, তাতেই থাকে আমাদের ওই - সোহাগের হাস্নাহেনা ।


পোয়াতীর হিসেব নেই - শূণ্য পেটে লাথি মারে
গর্ভবতী ফসল ক্ষেতে - বিন্দু জলে সিন্ধু বাড়ে ,
মহাজনের খাবি খেতে - তটস্থ প্রান, কৃষক মরে
যৌবন তার অলক্ষ্যেতে - স্বেচ্ছামৃত্যুর দোয়ারে ,
বৃষ্টি ভেজা পচা আলুর স্তুপের উপর রোদনটাই আজ
ভীষন দামী, সে'ই এখন বিজ্ঞাপনের - সোহাগের হাস্নাহেনা ।


রোদ বৃষ্টি রোজ মাথায় - পাথরে পা সকাল সন্ধ্যা
কিষানী তো চেনেই না - চটি, ফিতা, নূপূর আলতা,
রিক্সা গাড়ি হয়নি দেখা - তফাৎ কি তার দুর-সুদুরে
পায়ের তলা চর্মধারী - তাইতে কিষান সোহাগ করে,
বাঁচার তাগিদ শেখায় যখন বিক্ষোভ বিদ্রোহ লং মার্চ
এখন বড় কাজের মানুষ আমাদের  - সোহাগের হাস্নাহেনা ।