হঠাৎ একদিন সকাল বেলা
কার ইশায়ায় মেতে,
অজান্তেই চলে গেলাম
হলুদ সরষে ক্ষেতে।
শীতের সকাল
শিশির গুলোর জীবন অকাল।
খুব মমতায় জড়িয়ে আমায়
আমার যত ভালবাসা
উজাড় করে দিলাম তোমায়।
তাকিয়ে দেখ তোমার পায়ে
সরষে ফুলে মাখা,
তারই কাছে জেনে নিও
আমার ইতি কথা।
গমের চারা ছড়া ছড়া
মাথা তুলেছে সবে,
রাখাল ছেলে শালিক তাড়ায়
হৈ হৈ রবে।
একটি ঘুড়ি লাটাই ছিড়ে
পালিযে যাচ্ছে উড়ে,
দুষ্ট বালক ঘুমিয়ে বলেই
পাইনি খুজে তারে।
বকেরা সব চোখ বুজে
কবুতর দল খাবার খুজে
এদিক ওদিক করছে ঘু ঘু
ভয় শিকারীর ফাঁদে,
তালগাছটা দুলছে মাথা
খানিক বাদে বাদে।
দেখছি আমি মুগ্ধ হয়ে
হাটছি আঁকা বাঁকা,
জন্ম ভূমির এমন ছবি
আজকে হল আঁকা।
জীবনান্দ আসে যদি
ধান সিড়িটির তীরে,
বন্দে আলী আসবেনা কেন
ময়না মতীর চরে!
আমিও যদি কভু আসি
বাংলা মায়ের কূলে,
আসি যেন
বাশ ঝাড়ের ঐ অন্ধকারে
জোনাক হয়ে জ্বলে।