আজ থেকে ছয় বছর আগে পঞ্চম শ্রেণীতে একটি মেয়েকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল 11 বছর। জানি না কেন হঠাত্‍ তার মধ্যে কী দেখেছিলাম! তবে তাঁর চোখ দুটি গভীর আকষর্ণজনক ছিল। হয়ত তা দেখেই।
তাকে দেখেছিলাম আমাদের পাড়ার পূজাতে-- ভগবতী মায়ের পূজা। প্রত্যক বছর এখানে গান হয়। এখানেই তাকে দেখেছিলাম।

তখন কিন্তু আমি প্রেম-ভালোবাসা কিচ্ছু বুঝতাম না। সে'ও বুঝতো না। শুধু ভালো লেগেছিল। ভালোবাসা আর ভালোলাগা তো আর এক জিনিস হয় না।

আমি পঞ্চম শ্রেণীতে এবং সে ছিল ষষ্ঠ শ্রেণীতে। আলাদা স্কুলেই পড়তাম। সেদিন থেকে তাঁকে দেখে আর থাকতে পারছি না-- চোখ বুজলেও সে, দেখে থাকলেও সে, ভাবলেও সে। একদম আবারা হয়ে গেছিলাম। তার বয়স ছিল 14-15 বছর আমি 11.

শেষমেষ বলেই দিয়েছিলাম তাঁর বান্ধবীকে আমার কথা তাকে বলতে। বলেও দিয়েছিল। সে'ও ভালোবেসেছিল। ভালোবাসবোটা কী? ভালোবাসা কী তা'ই জানতাম না।

আজ পর্যন্ত সামনাসামনি কথা হয়নি। অথচ আমরা দু'জন বিভিন্ন সূত্রে অনেক কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু কথা আর হল না।

ক্লাস 8 থেকে আমি (হয়ত সে'ও) বুঝতে পেরেছিলাম ভালোবাসা কী এবং বুঝতে পেরেছিলাম যে, অজান্তে সে কাজ করা হয়েছিল।

তবে, জানি না আজ মেয়েটি আমাকে ভালোবাসে কি না। দেখলে মনে হয় যে, সে আজ'ও আমাকে ভালোবাসে।

কিন্তু, কী করবো? আজ আমি বৈরাগী। হয়ত অন্তনির্হিত মানুষটা সেটাই আছি কিন্তু বাহ্যজগতটা বদলে ফেলেছি।

আজ তাঁর বয়স 19 বছর। আমার 17 বছর। মনে পড়লে হাসি আসে এসব কথা। আমি 12-এ। সে কলেজে। নামটা বলব কি? বলেই দি...রিংকী।

হয়ত, ভগবান আমাকে বৈরাগী বানাবে বলেই এত অল্প বয়সেই প্রেম-ভালোবাসা জিনিসটা কি জন্যে হয় তা বুঝিয়ে দিয়েছে যাতে পরবর্তীকালে আর সন্দেহ না জাগে আর পুনঃবার না করি।