ঈদের চাঁদ উঠে গেছে
রহিম মিজ্ঞার লুংগীর ভাঁজে 
সব মিলিয়ে টাকা দশ হাজার।
কপালের ঘাম মুছে
হাতে থু থু মেখে
টাকাটা সে গুনে কয়েক বার।
সারা মাস খেটে ঈদের আগে 
এটাই তার মোট রোজগার।


রহিম মিঞা হিসেব করে,
কিস্তির টাকা.. 
বাসা ভাড়া.. 
থাকে মাত্র আর চার হাজার।


বউ এর জন্যে লাগবে শাড়ি
মেয়ের জন্যে গোলাপি একটা ফ্রক
সাথে আছে ঈদের কাঁচা বাজার।
টায় টায় হয়ে যাবে
নিজের জন্যে পাঞ্জাবিটা না হয়
না হলোই এবার।


আজ সে রিক্সা চালাবে না
কষ্টের টাকা পকেটে পুরে
সে আজ যাত্রী হবে কোন রিক্সার। 
দাবদাহে ঝলসে যাওয়া
তামাটে মুখটায়
তৃপ্তির হাসি রহিম মিজ্ঞার।


হাজী কামালের মনটা খারাপ
এই ঈদে আগের প্রিমিওটা
পালটে কিনেছিলো একটা প্রাডো।
কালারটা এখন বউ এর
পছন্দ হচ্ছে না আর।


এ দিকে একমাত্র ছেলের আবদার
সদলবলে ফুর্তি করতে যাবে
সুইডেন কিংবা কাতার।
একা ঘরে না কি ঈদ করতে
মোটেই ভাল লাগে না তার।


হাজী কামাল হিসেব কসতে বসে
এতো এতো টাকা কামানোর
ছিল কি কোন দরকার?
বাড়ি গাড়ী ফ্ল্যাট থেকেও কেন
আজ মনের শান্তি নেই তার!