মহিন তার তাগড়া ঘোড়ার পিঠে চেপে রাস্তায় নামলো। 


কিছু দূর যেতে না যেতেই এক দুষ্ট লোক তার পথ আগলে দাড়াঁলো


দুষ্ট লোক:
একটা গাধা নিয়ে তুমি যাচ্ছ কোথায়?
মহিন:
দেখছ না এটা একটা ঘোড়া?
আমি ওকে বিক্রি করতে যাচ্ছি হাঁটে।
দুষ্ট লোক:
আমি খুব ভাল করে চিনি কোনটা গাধা আর কোনটা ঘোড়া। যাকগে তুমি বিশ্বাস না করলে
আমার কিছু যায় আসে না।
মহিন:
সেই ভালো। আমাকে আমার কাজ করতে দাও।


কিছু দূর যাওয়ার পর এলো দ্বিতীয় জন।


দুষ্ট লোক
ভাই তোমার গাধাটা দেখতে অনেকটা ঘোড়ার মত। ও কে নিয়ে চললে কোথায়?
মহিন:
ভারি মুশকিলতো! একে আমি ছোট থেকে বড় করেছি, আর তুমি বলছ এটা গাধা?তুমি ভাই তোমার নিজের রাস্তা মাপো।
দুষ্ট লোক:
তোমার বয়েস কম। অভিজ্ঞতাও কম। হয়ত কোথাও ভুল করছো। যাকগে তাতে আমার কি!
যাও তুমি তোমার মত।নিজেও ঠকবে অন্যকেও ঠকাবে।


( ইতিমধ্যে পর পর দুজন অচেনা ব্যক্তির কাছে ঋনাত্বক কথা শুনে মহিনের মনে কিছুটা খটকা লাগলো। মনে মনে ভাবতে লাগলো, হয়ত এরাই ঠিক। আমি হয়ত ঘোড়া আর গাধার পার্থক্য খেয়াল করি নি। )


এরই মধ্যে আগ বাড়িয়ে দাঁত কেলিয়ে সামনে এলো তৃতীয় জন।


দুষ্ট লোক:
ভাই চললে কোথায় এত কদাকার একটা গাধাকে সাথে নিয়ে?
মহিন:
তুমিও বলছো এটা গাধা? তাহলে মনে হয়
আগের লোকেরা ঠিকই বলে ছিলো। 
দুষ্ট লোক:
আরে বাপু! তিন কাল পার করে এখন আমার এক পা কবরে। আমি কেন মিথ্যা বলতে যাব?গাধাকে গাধা না বলে যে ঘোড়া বলবে সে নিজেওতো একটা গাধা!
মহিন:
আসলে আমারই বোধ হয় ভুল। শুধু শুধু এত খরচ পাতি করে ওকে বড় করেছি। একটা গাধাকে ঘোড়া মনে করে।


এই বলে মহিন তার প্রিয় ঘোড়াটিকে রাস্তায় ছেড়ে দিলো।


( সারমর্ম: দুষ্ট লোকের উদ্দেশ্যপূর্ণ মিষ্টি কথায় খেই হারালে চলবে না। আত্নবিশ্বাস নিয়ে সততার সাথে নিজের কাজ করে যেতে হবে।)