সেই চোখদুটো এখন দেখি না,
যে চোখে চোখ রাখলে মুখে বলা হত না কিছুই;
সেই চেহারাটা আজ বহু দূরে
যার মায়াতে দিতে পারতাম সবই।


সেই হাঁসিটা কি আজও আছে?
মুক্তোর মালাও ম্লান ছিল যার কাছে,
আর অভিমানে গোমড়া ঐ দুটি ঠোঁট
হার মেনেছে কতবার রুপকথার মানিক রতন জোট।


আমার খসখসে হাতে কোমল হাতটি তোমার কই?
তা কি আজও কোমল আছে?
নাকি আমার স্মৃতিটা তাজা করে,
সেও আজ খসখসে হয়ে গেছে?


মনে কি আছে সন্ধ্যে বেলার সেই নিবিড় আলিঙ্গন?
প্রতিটা কিস্তি পেরোতো শতাব্দী ক্ষণ।
কখনো তো পড়তাম লজ্জায়
তিন আর পাঁচের দুটি কলিজার টুকরো দেখে ফেলত যখন।


আজ ওরাও তো বিচ্ছিন্ন-
পাঁচের টুকরাটা দিয়ে গেছ, তিনের টা অতি ছোট কিনা;
কিন্তু সে দিনের আলিঙ্গনে সবই সমান ছিল
আজ জগতে সবই অসমান তুমি হীনা।


আজও মাঝে মাঝে ভোর রাতে
বিছানায় তোমায় ধরি জড়িয়ে,
কিন্তু তোমার দেহে কোন আবেদন নেই
ঘুম ভেঙে যায়, হায় তুমি গেছ কোলবালিশ হয়ে।


আজ সন্ধ্যে গুলোতে নেই তুমি বুকে
তাই তাকিয়ে থাকি নিঃসঙ্গ আকাশের দিকে,
তুমিও হয়ত এমনি সময়,
আকাশের বুকেই যাচ্ছ স্বপ্ন এঁকে।
ভাবনাটা বড় দুঃখের লাগে-
দিনের কিছুটা মুহূর্ত, এই সন্ধ্যেটা বড় কাঁদায়
ভুলগুলো ভাসিয়ে নেয় দুঃখ সাগরের ঢেউ
হয়ত বড় ভালবাসি আজও তোমায়...।।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
১৭ পৌষ, ১৪২০ বাংলা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।