নাকটি নয় হিমালয় পর্বত
চোখ দুটিও নয় পাখির বাসা,
কমলার কোয়া নয় ঐ ঠোঁট
তবু কেন, এই মুখটি পানেই ফিরে আসা?


নেই তোমার শুভ্র ললাট
নেই আকর্ষণীয় বক্ষ ভরাট-
হাসলে গালেতে পড়েনি কভু টোল
তবু কেন, তোমায় ভাবি চলতে রাস্তা ঘাট।


পায়ে কভু বাজেনি রিনিঝিনি নূপুর
হাতের কাঁকনেও মাতেনি কোন দুপুর
গলেতে উঠেনি কভু অমূল্য মনিহার
তবু কেন হৃদয়ে বাজে শুধুই তোমার সুর।


ভারী পশ্চাদেশের দোলায় ওঠে না দোলনের তাল
কোমরের বিছার ঝংকারে কখনো হইনি মাতাল,
কণ্ঠেও তো নেই কোকিলার মত সুর
তবু তোমারি নদীতে কেন, আমি মাঝি তুলি পাল?


জীবন যুদ্ধে হেরে মৃতপ্রায় আমি, আছে কি মনে?
একফোঁটা জলের অভাবে ভেতরটা ছিল হাহাকার-
কোন রূপবতী এসে, তখন দেখেনি আমার পানে
তুমিই তো তখন আমিত্বে মিশে, হয়েছ একাকার।
চাইনা ঐশ্বর্য, আমি চাইনা রুপের বাহার
কণ্ঠরোধ হয়ে যাবে, প্রতিটা দেহকোষ জানাবে আমি তোমার,
আজ পেয়েছি তোমাতে এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
মরেও আমি বেঁচে রব জানি তোমার মাঝে আবার...।।



সস্তাপুর, নারায়ণগঞ্জ।
০৭ পৌষ, ১৪২০ বাংলা। ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩ ঈসায়ী।