আমার একুশ বছরের প্রিয়তমা মৃত্তিকা, যে এখন নিশ্চুপ ঘুমিয়ে আছে মৃত্তিকার গহীনে। যে সতেরদিন আগে সমাহিত হয়েছিল পৃথিবীর মাটিতে। এই শহরে তার নামে একটি ভাস্কর্য তৈরী করা হবে। সম্মুখে নিরন্তর প্রবাহিত হবে একটি স্বচ্ছ জলনহর।  আমার একুশ বছরের প্রিয়তমা মৃত্তিকা। সেই শীতল জলধারাকে বুকে ধরে হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিষাদকন্যা।একটি সদ্য প্রেমে থাকে কিছুটা সংশয় সংকোচ আর বিভ্রান্তি এবং বিচ্ছেদে একগাঁদা স্বপ্নের অপমৃত্যুর সংবাদ।কখনো স্বল্পদৈঘ্যের পরিচয়ে অগাধ প্রত্যাশার অবসান হলে মৃত্তিকার গভীরে খুঁজে কিছু ব্যর্থ উন্মাদ, প্রবাহমান স্রোতে চোখ রেখে হয়ে ওঠে বিশ্বস্থ নদী। কিংবা প্রিয়তমাকে হারিয়ে যারা শেষরাত্রে লিখে রাখে সুইসাইড নোট অথবা যারা ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে প্রেম বিবাগী বৃক্ষ। আমার মৃত্তিকার ভাস্কর্যকে সাক্ষী রেখে তারা বরং মুখস্ত করুক একাকিত্বের স্লোগান। এই বিয়োগাত্মক হৃদয়গুলো হয়ে ওঠবে এক একটি মোহনীরূপ ভাস্কর্য।


১৫.০৮.২০১৫ ইং
চট্টগ্রাম।