সেদিন বিকেলে,
ফোটেনি কোনো লাল শিমুল।
ছুটে যাওয়া ইলেকট্রন ভাষা
কাঠফাঠা রোদে যেন শমগুণ,
নিদ্রিতাবস্থায় দৈবাদেশ সেদিন বিকেলে।


সেদিন বিকেলে,
আমার সাদা কালো শহরে নীল বাহিনী
তার লাল উত্তরীয়। হানা গ্রাস।
রঙিন শহরের মিছিলে লাল দেওয়াল
সাদা ছবিতে ভাসা অনেক কৃষ্ণবর্ণ কাহিনী।


আমার কপাল, কত কুণ্ঠা, অবশেষে
সাহস জুটিয়ে এক বর্ণ দিকউত্তরাশা।
সরলতার প্রতিবিম্ব তার স্নেহ।
বোধের গভীরে, কালবেলা আমার সহিত
তার অভাবে তাকে, জর্জরিত আমার চিত্তঃদয়া।


মনের পথ চঞলা, কিছুটা মূর্খতা
ভাবের ধারে ভাসা, বৈচিত্র পরিহাস।
ঢের পাশে, তবুও অনেক দূরে
অপরিচিত বিশ্বে পারবে কি আর অন্ত?
নীল নগ্ন আকাশের আত্মহারা সুরে।


উগ্র তপ্ত বিভাবরী, হিমময় তার টুঁটি
না শুনেও, চেয়ে দেখতাম মুখখানি।
ভালো লাগার সুরে ভরা হতে হতে আমার কৃষ্ণ আশা
আমি মুছে ফেলেছি, আত্মার অবস্থা মুমূর্ষু।
কেমন হল শুনতে? বলতো দেববাণী র মধুময় স্রোতধারা
আমি কখন শুনিনি, শুধু বলেছি হ্যাঁ।
হায়রে অকাল বর্ষা
আমার অধিক বেদনা দায়ী স্মরণ করা।


বহু লোক পর, বাজল ঘণ্টা প্রহর।
ভেবেছিল আশা হীন, আছে সে কোথায়?
অতিরিক্ত দূরে, আমার চেয়ে অনেক দূরে,
নিরাবতা, একটি শাস্তি। সীমাহীন অন্ধকার নিধান,
অসীম অন্ধকার বিন্ধ্য নিহত বিধান,
শুণ্যতার অনাকাঙ্ক্ষিত অনুভূতি কালের বৃত্ত।
কে সে আমার? নিরন্তর শান্তির স্পর্শে
নির্দোষ নিখোঁজ হারানো সৃষ্টি এই অবিচ্ছেদ্য তিমির বিশ্বে।


বছর পরে, টার মূর্দিত চুলে
গুটি গুটি পায়ে, লোহার গেট পেরিয়ে
কালো সাদা, মিশে তৈরি পরিপূর্ণ সৃষ্টি।
লাল উদাস হীন নীলিমায়, বাচনিক সাক্ষাৎ
একটি স্বপ্নের প্রতিবিম্ব।
সেই রঙিন শহরে হারানো তার ছবির প্রতিচ্ছবি,
তাকে মনে করে, সমৃদ্ধি প্রতিশ্রুতি,
একটি স্বপ্নের প্রতিবিম্ব।