ছোট্র বেলাকার কথা আজও মনে আছে
শিশু বন্ধু খেলার সাথী!
ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা আর জ্ঞান প্রসার
কিশোর কৈশোর সহদল!


পড়া-লেখা-খেলা-ধূলা-গল্প-আড্ডা-চল
চলেছি বহুপথ এ'ধরাতে।
শুনেছি ছোট্টবেলায় ওরা ছোট বড় হলে
ওরাই জ্ঞানী মানুষ হবে।


সমাজকে দিবে এক উজ্জ্বল আলো দীপ্ত
আলোকিত করবে সমাজ।
নিজ সুন্দর মানুষ তৈরিতে থাকবে অনন‍্য
ফুটন্ত গোলাপ রচিত হ্নদ।


মনে মনে ভেবেছি শিশু শিক্ষা বাল‍্য শিক্ষা
মাধ‍্যমিক শিক্ষা উচ্চ শিক্ষা!
উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন শিক্ষা হলে হয় তো
বুঝি জ্ঞানী মানুষ তৈরি হবো!


শিক্ষার শেষে প্রকৃত মানুষ হতে পারবো
হয়তো জ্ঞান পরিপূর্ণতা পাবে।
পরিশেষে একটি সুকর্ম প্রাপ্তিতেই খুঁশি
শিক্ষা আলো ছড়াতে পারবো।


কত গুণ-গুণে ভরা মনটি পাবে এ'ধরায়
উজ্জ্বলতা পূর্ণ কর্মময় জীবন।
নিজ পরিবার-সমাজ-দেশ-বৈদেশ সর্বোত্র
স্বপ্ন আঁকা মন-প্রাণ-ভাবনা!


এখন বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে তবুও শিক্ষার
কোথায় শেষ ঠাহর পাইনি।
মনে হচ্ছে সাগরের বিন্দুমাত্র শিশির সম
সামান‍্যতম জ্ঞানও অর্জন হয়নি!


আমরা মানুষ এতোটাই হতো বুদ্ধির ঢেঁকি
কোন মত দিক হারাশিক্ষার্জনে!
হয়ে পড়ি মহাজ্ঞানী; কতকথা গল্প বলতে
থাকি, একে অপর সমাজ তটে।


প্রকৃত পক্ষেই কি আমরা সঠিক পথে হাটি?
আসলেই কি প্রকৃত শিক্ষা পাই?
পেয়েছি আমরা মনটি হতে, কেনই সংশ্বয়?
যতই বয়স বাড়ছে শিক্ষায় শুন‍্য।


অবমূল‍্যায়ন দেখা পাচ্ছি অসভ‍্যতার সমাজ
মূর্খদের আধিপত‍্যের দৌরাত্মায়!
পথহারা দিশেহারা সুশিক্ষার পরিচয় আঘাত
আসলেই কি পেয়েছি শিক্ষার্জন?
**************************
বাণী: শিক্ষার শেষ নেই। অধিক সংখ‍্যক অশিক্ষা আর কুশিক্ষার মাঝে সুশিক্ষা খুবই বিপদ গ্রহস্ত। এমন কি প্রাণনাশ ঘটতে পারে। যারন‍্যায়, শিক্ষিত জনেরা কখনো সখনো অশিক্ষা আর কুশিক্ষা লোকেদের দৌরাত্মাদের কুকর্ম এবং রোষা নলে বোবা বনে দিক হারা হয়ে বাকহীন অবহেলিত বনে যায়। যা শিক্ষিত লোকদের বড় ধরণের অন্তরায়ও বটে।