সময় থাকতে বোঝে না কেউ চ'লে গেলে বোঝে
রাত বিরাতে পাগল হয়ে অবশেষে খোঁজে।
খুঁজলে ও কি আর পায়? পেলে ও দেখে
হারিয়ে গেছে অচীন দেশের গাঁয়।


বলতে তুমি নির্লজ্জ হায় গলায় তোমার ভাঁজ
কেনো আসো আমার কাছে নেই কি তোমার লাজ?
পৃথকভাবে থাকতে দু'জন রান্না হতো ভিন্ন
খেতে না হায় তাহার হাতে এতোই তুমি ঘৃণ্য।


দিতে না হায় কাপড় চোপড় স্বামী হয়ে তুমি
সে গেছে আজ তোমায় ছেড়ে কাঁদছো কেনো তুমি?
সময় থাকতে কওনি কথা এতো ঘৃণা মনে
আজকে কেনো ডুকরে কেঁদে উঠছো ক্ষণে ক্ষণে।


চিকিৎসা তার হয়নি ভালো দেখলে চুপে চুপে
তোমার সামনে স্ত্রী তোমার মরলো ধুঁকে ধুঁকে।
বিদগ্ধজন বুদ্ধিজীবি সাজছো তুমি নিজে
লেখাপড়া অনেক তোমার লাগলো কিসের কাজে?


এ-তো বইয়ের সমারোহ পড়ছো দিবা রাতি
মনে তোমার হিংসা বিদ্বেষ জ্বলবে কিসে বাতি?
বড়ো একজন অফিসার তুমি ছোট্ট তোমার মন
স্বামী হয়ে দায়িত্ব তোমার করোনি পালন।


আজকে কেনো চোখের জলে?ভাসাও তোমার বুক্
সে গেছে হায় জগৎ ছেড়ে নিয়ে অসীম দুখ্।
ফিরবে না আর তোমার ঘরে যে গেছে আজ চ'লে
না ব'লে ও ব'লে গেছে হাজার কথা ব'লে।


যাবার বেলা অশ্রু ভরা নয়ন ছিলো তার
কঠিন তুমি পাষাণ তুমি কাঁদেনি অন্তর।
যাবার আগে যায়না বোঝা কি গেলো হায় চ'লে
যাবার পরে কাঁদে হৃদয় হাজার কথা ব'লে।


থাকতে সময় কেউ বোঝে না নেয় না কারো খোঁজ
মরার পরে কাঁদে রে মন কাঁদে রে হররোজ।
চিকিৎসা ছাড়া অবহেলায় মারলে নিজে হাতে
এখন নিশ্চয়ই আছো ভালো আছো দিবস রাতে।


স্বামী নামের কলঙ্ক তুমি রেখো এটুক মনে
অপরাধে মন যে তোমার কাঁদবে ক্ষণে ক্ষণে।
করবে তোমায় সবাই ঘৃণা করবে জনে জনে
মরবে তুমি এমনভাবে থাকবে না কেউ সনে।


এখানে ই শেষ হয়নি পাষন্ডের সব কথা
জানলে সবাই করবেন ছিঃ ছিঃ মনে পাবেন ব্যথা
স্ত্রীর সাথে হাসপাতালে গেলো না সে পাপী
থাকলো বসে নির্বিকার সে উঠলো বিশ্ব কাঁপি।


হাসপাতালে নেবার পথে প্রতিবেশীর মন
উঠলো কেঁদে ক্ষণে ক্ষণে কাঁদলো সারাক্ষণ
প্রতিবেশী দেখলো পথে জীবন তাহার শেষ
কাঁদলো জগৎ এলাকাবাসী বাঁচলো
পশু বেশ।