দুঃস্বপ্নে দেখি, দিক হারিয়ে আটকে পরলাম ইরাকের রামাল্লায়
সড়কের প্রতিটি অলি গলিতে সাঁজোয়া অপরিচিত রঙের ট্যাঙ্ক
ধ্বংস ইমারতের ভগ্ন ইটের লাল ধোঁয়াশা। অন্যরকম সকাল।
চারদিকে চিৎকার। শিশুদের কান্না। বৃদ্ধার অশ্রুতে অভিশাপ
গুঁড়িয়ে গেল সব একের পর এক। এক বিল্ডিঙের পর আরেক।
মনে হোল যেন ঢাকার সেই চেনা গলি, ঠাই নেই দাঁড়াবার।
লাশে লাশ। পচা গন্ধ আর শকুনের উল্লাস। স্বপ্ন সব চুরমার।


দুঃস্বপ্নে দেখি, সিরিয়ার কুর্দি। আকস্মাত ছিন্ন ভিন্ন চিৎকার
দুমড়ানো মোচড়ানো গাড়ীর নাম্বারটা মনে হচ্ছে যেন কার,
বীভৎস ঝলসানো মাংসপিণ্ড। রক্ত ধুলায় মাখা গলিত মগজ
কুর্দির ধুলায় বারুদের গন্ধ, গুমট আকাশে অশ্রু চাপা কষ্ট
যেন চেনা চেনা মনে হয় থমকে যাওয়া এক জীবনের গল্প।
মাঝে মাঝে মনে হয়, কুর্দি না যেন চেনা শহরের কোন ব্যাস্ত সড়ক।


স্বপ্নে দেখতাম, দিল্লির আগ্রা। মমতাজমহলে ব্যাস্ত শাহজাহান।
সাদা হংসের পালকে রঙিন সিংহাসন, মমতাজের চোখে ভালবাসা।
স্বর্ণের ধাতব গন্ধে মাত, জলসা ঘরে বাঈয়ের নুপুর ঝুমুর আওয়াজ।
শিক ধরে দাঁড়ানো জানালায় মমতাজ, পায়রার চঞ্চুতে শুধু চুমু খায়।


দেখতাম, সোফিয়ার প্রাসাদে রক্ত লাল সুরার পেয়ালায় রতির নেশা।
মশালটা জ্বলছে।অন্দরমহলে অর্ধনগ্ন দাসী অপেক্ষায় কাটে রাত।  
মিটমিটে আলোয় রাতের শ্রান্তি; ভোর হলে হোল শেষ, শেষ সীৎকার।


।১৬ আগস্ট ২০১৬।