লাউ ডগার ফুলে মৌমাছি
শুকনো কঞ্চিতে ঝুলে পরা পুঁই
আমার গ্রামের ধুলার গন্ধে
চোখ বুজে আসে ঘুম
তরুনির হাতে ফোটা খৈ।  
বাঁশির শব্দে
আমি জেগে উঠি, আর
জানালার ওপারে এক ফালি চাঁদ
রাখাল তুই কই?

ধুলার সাথে কাদার ছন্দ মিতালি
দুপুরে রোদে
লাটায়ের ঘূর্ণিতে ঘুরির চিৎকার
লাল হলুদের ফোটায় ফোটায়
আজ শান্তির নিঃশ্বাস।
আমার জমির মাটির গন্ধে
মরচে পরা পুরানো এক আনা পয়সায়  
একটি বাঁশির সুর।

আমি জানতাম তুই আসবি ফিরে
শিকড়ের খোজে যেখানে
ভালবাসা জন্মায় আর আগাছায় ছেয়ে যায়
এ ভালবাসা ভোলার নয়।
আমার চাষির কাচি আর কোদালের কোপে
তোর বুক চিরে নিয়েছি যা ছিল সব
কখনো বুঝতে দিস নি
কতো ভালবাসায় মুছে যায় এ ব্যথার দাগ।  

আজ সময়ের অন্ধকার কোটরে
হারিয়েছে পাগলাটা,  
সকাল সন্ধা
দাপিয়ে বেড়াতো পারার অলি গলি,  
নষ্ট ছেলের দল
ঢিল ছুড়ে লুটো পুঁটী খেত সব।
কেও কি রেখেছে মনে তাকে আজ?

কত্ত মনে পড়ে আজ
দুষ্টু বিড়ালটার লেজ উঁচিয়ে চলার দাপট
মা বিরক্ত
বাবা হাসত মায়ের চিৎকারে
কতো আহাল্লাদ! সময় অসময় ভুলে
মায়ের কাপড় ধরে ঝুলত;  
সবার চোখ ফাকি দিয়ে
চুরি করে খওয়ার অভ্যাসটা বদলেছে কি তার?


আজ বড্ড বেমানান শহরের এই দুপুর
যখন ক্লান্ত হারায় নিজেকে
চোখ বুজে ডুবি
আমার গ্রামের প্রতিটি ধুলার গন্ধে
যেখানে মৌমাছি এখনো খেই হারায়
রাত কে দিন ভেবে,  
অলস বিড়ালটার ঘুম ভাঙ্গে
জল জ্বলে ইদুরের চোখে চোখ রেখে।


বড্ড বেমানান
তোর বারান্দার দুপুরের ভ্যাপসা রোদে
হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে আসে
আমি দাঁড়িয়ে দেখি মানুষের নিরন্তর ছুটাছুটি
ধিরে ধিরে সব ম্লান হয়ে আসে
আমি বিষণ্ণ নিরব; তাকিয়ে দেখি
যে চাঁদ উঠে এই নন্দিত নরকে।  


। ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ।