লেখকঃ মোঃ জহিরুল হোসাইন খান নাসিম।


আকাশে ঘনঘটা, নদীতে জোয়ারে ভাটা
অগ্নির লেলিহান কেড়ে নিল শত শত প্রাণ,
মনুষ্যত্বের উদ্যান
হয়ে গেলো ম্লান।


হাজারো মানুষের ভিড়ে, বনানীর এফ আর টাওয়ারে
বিভৎস কান্নার আহাজারী, বাঁচাও কে কোথায় আছ শুভ্রচারী
আজরাইল এসে হাকে, সাড়া দাও স্রষ্টার ডাকে
পাপে পূর্ণ হয়েছে দেশ, তাই এতো মহামারী।


যেখানে নেই শাসকের ভয়, পিশাচের দল যখন মুখোশ পরিহিত রয়
মানবতা ভূলে যে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে
সততা যখন আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে
তখনই এমন গজব আসে নিরীহ মানুষের উপরে।


কার প্রায়শ্চিত্ত কে করে?  মৃত্যু সবার তরে
আজ হয়তো আমার, কাল তোমার ঘরে,
কে বাঁচাবে বলো কোন শক্তিবলে?
সবাই যে আছে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর দুয়ারে।


সেই ছোটবেলা থেকে এসেছি শুনে
কোন সন্তান আগমনে বা রাজ্যের রাজার কারণে
ভালো মন্দের হিসাব গুনে
অপবাদ বা সুখ্যাতি আনে।


পথে, মাঠে, পানিতে আর অগ্নিতে পোড়া কতশত লাশ
ভুক্তভোগীদের নাভিশ্বাস, শাসকের সাথে নেংটিচোরার যুদ্ধ,
নিরীহ মানুষ অবরুদ্ধ,  কারণে অকারণে অনেক কিছুই হয় নিষিদ্ধ।
জনগণ অবুঝ তাই বাকরূদ্ধ।


কার ইশারায় হয় ধর্ষিতা, মা বোন বিষের যন্ত্রনায় কাতরায়
কার ব্যর্থতায়, অনেক অঘটন সুনিপুণে ঘটে যায়?
রাষ্ট্রযন্ত্র হয় নিষ্ক্রিয়, কার নির্লিপ্ততায়?
কে নেবে তার দায়?