পৌষের হিম শীতল বাতাসে
অসাড় হয় দেহ তট,
নিস্তব্ধ হয় দূরন্ত রক্ত কণিকারা,
যত্র-তত্র ছুটে বেড়ানোর চেয়ে
নীরবে বসে থাকাটাই সমীচিন।


দূর পাল্লার গাড়ী গুলো
সবেগে ছুটে আসার চেষ্টা করে
কুয়াশার চাদর ভেদ করে নির্বিঘ্নে
আটকে যায় অবাধ্য পথের মাঝখানে
অবরুদ্ধ শৈত্য প্রবাহে।


ধোয়া ওঠা গরম কাপে ঠোঁট ডুবিয়ে
উষ্ণতার পরশ পেতে
ঝিম মেরে বসে থাকি বেশ কিছুক্ষণ,
ঝাঁ ঝাঁ করতে থাকে কানের পাশে
ঝুলে থাকা উলঙ্গ মাংশ পেশী গুলো।


রক্ত চক্ষু মেলে গভীর ভাবে তাকাই
আরও  বেশি উষ্ণতার পরশ পেতে
ওম হয়ে জড়িয়ে নিই নিজেকে
বিশ্বাসের উষ্ণ চাদরে।