(১) বেহেস্তী হুর
আমাকে অনন্ত প্রেম দাও, আমি তোমাকে রাফলেশিয়া দেব।
গন্ধ শুঁকে শুঁকে বলবে এ যে বেহেস্তী হুর।
সে কবিতার ঘ্রাণ এক অনন্ত আকাশ' ধরবে।
(২) কৃষ্ণচূড়া
কৃষ্ণচূড়াকে বলি তুমি এত সেজেছ কেন।
বলে তোমাকে দেখাব বলে
বলি আমার প্রিয়া তোমার চেয়ে সুন্দরী।
বলে সে কবে আমায় ডাকবে, গানে গানে দুটি কথা বলবে,
আমি আর থাকবনা যদি সে নাদন না দেখায়।
(৩) তুমি আমার
প্রেম করেছি একদিন, ফুল দেইনি।
জ্বালা জুড়াত, মনোবাঞ্চা পূরন হতো না।
হাজার হাজার সাদা কাগজ গর্তে ফেলেছি এ-কথাটি বলতে পারিনি।
তোমরা আমাকে হিমালয়ের কাছে নিয়ে যাও-
আমি চিৎকার করে বলি, _ মনোবাঞ্চা পূরণ করি, সাত সাগরে ঢেউ খেলি।
(৪) দুটি কথা
যেদিন সূর্যটা ডুবে যাবে সেদিন আমরা কি ভাববো!
আমরা নেই?
আমরা যে চিরস্থায়ী উঁচু এক টম্ব।
(৫) শেক্সপিয়ারের নৌবিহার
শেক্সপিয়ার যেদিন জুলিয়েট লিখলেন
তিনি যে অসীম আনন্দে ফেটে পড়লেন।
"আমার আর কিছু লাগবেনা" "আমার আর কিছু লাগবেনা"।
( আমি পেয়ে গেছি)
এখন আমার দিন কাটবে হুরের গন্ধ মেখে, সখির আয়না দেখে।
(৬) গীবৎ
জন্ম থেকে কারো গীবৎ গাইনি
এ কি মোর দোষ!
এখন যে আমায় দেখলে সবাই পাগল বলে।
আমি 'আটলান্টিক' সাগরে তাদের লাশ ফেলব।
(৭) পৃথিবীর চেয়ে বড়
কখন যেন পৃথিবীটা শূন্য হয়ে গেছে আমি টের পাইনি।
আমি তোমার কথা ভাবতেছিলাম।
তুমি এক ডালা নিয়ে হাজির হয়েছিলে আমি বেমালুম সব বেদিশ্ হয়ে গেলাম।
(৮) তুমি সুন্দর
সব সুন্দর।সবচেয়ে সুন্দর তুমি
তোমার কথা যে রবীন্দ্রনাথ হিমালিনীতে বলেছিলেন।
এখন উঁচু উঁচু গাছে টম্ব ধরে, তুমি বাড়তি কথা কও।
সবকথার শেষ আছে এ- কথার সমাপ্তি নেই।