(১) তুমি অনন্যা


তিনশ বছরের সাধনা-তোমার গলে ফুল দেব।


                     তুমি একটু উঠে বস।


  তোমার হাতে একজন সোনার কঞ্চি ধরিয়ে দেক।


          আমি বেবিলন থেকে 'ট্রাম' যোগে আসছি।


    তোমার পদ্ম-নীলে সোনার জল রাখব।


  তুমি আকাশ নীলাকে ফুল ছোঁয়।


(২) তুমি এক উর্মি লতা


   তোমাকে আমি দেখিনি
                           তোমার আকাশে কত তারা জ্বলত।
       তুমি যে বিনি-সুতার মালায় হাজার জনতাকে বেধেছ।


      তোমায় নিয়ে অশ্বিণী পূজা করলেও এ পূজার শেষ হবেন।
                 "তুমি যে উর্মির হিন্দোল"


    তুমি একদিন এসো প্রশান্তের পাড়ে সারস পাখি দেখতে যাব( সারস পাখি গানে গানে আকাশ মাতিয়ে তুলবে)


     আমরা যে অ্যাফ্রোদিতিকে দেখতে যাব সেথায় এক আলবাট্রস 'উর্মি' নাচ নাচবে।


        এ-কাহিনী পুরাণে,  টেস্টামেন্টে লেখা থাকবে।


(৩) একজন ভিক্ষুক


  তাকে নিঃস্ব করোনা


সে যে ধরনীর ধজলা পাখি


তার একদিনে হাজার সময় অতিবাহিত হয়


তার কথা অদ্য-জন্ম নেয়া শিশুটিরও মনে পড়ে


পারলে তাকে 'ধোনীক' বানিয়ে দাও


   (৪) হে ইশ্বর- আমরা অসহায়
  


আজ চারিদিকে কান্না আর কান্না
ভাইয়ের কাঁধ বোনের লাশ, ছেলের কাঁধে বাবার লাশ।


   যে শিশুটি জন্ম নিল আজ  সে দেখতে পেলনা মাকে।


    মা যে ৩০ বছরের লালিত সন্তানকে বুকে নিয়ে কাঁদতেছে।


     এ কান্না আর কত!
  পৃথিবী আর কত কান্নার মেঘমালা দেখবে!


এ যে জ্বলন্ত চুল্লীতে নিঃশেষ হওয়া' গল্প।



তোমরা চারিদিকে 'রব' 'রব' ধ্বনি তোল।


চারিদিক ঢেকে যাক 'রবে'।


ঐশ্বিক বাণি নেমে আসুক মাটির পৃথিবীতে


    প্রভু এসে বসত গড়ুক এ ধজলাতে।