ফ্রিজে গোশত গাদা গাদা,
পাশে কাঁদে রক্তমাখা দাদা,
বড়লোক হাসে পোলাও রেঁধে,
গরিব শিশু দাঁড়িয়ে কেঁদে।
ছোট্ট হাতে থালা ধরা,
মুখে লেগে খুশির পরা,
একটুখানি মাংসের আশায়,
পেটটা তার কাঁদে চুপচাপ।
হাতটা কেটে রক্ত ঝরে,
সে চেয়েছিল কোরবানির তরে,
একটু মাংস, একটু দয়া,
তাকওয়ার নামে শুধু সাজা।
মসজিদ আলোয় ঝলমল করে,
আঙিনায় শিশু উপোস মরে,
ঈদের হাটে হাসি বেচে,
গরিবের কান্না কেউ না খোঁচে।
কোরবানির নামে গোশতের পাহাড়,
পাশে থাকে বঞ্চিত হাজার,
তাদের কি ঈদ আসে না ভাই?
তাদের কপালে বরকত নাই?
আরেক পাশে গাজার বুকে,
একফোঁটা পানি ঝুলে চোখে,
বোমার শব্দ, শিশুর কান্না,
ঈদের দিনে হাহাকারে বন্যা।
আমরা খাই গোশত ভরপুর,
ওরা খোঁজে পানি, তাও দূর,
আমরা হাসি, ওরা পুড়ে,
বুকটা কি ভাই এতটা শুকায়?
হৃদয় কি কাঁদে গাজার তরে?
নাকি খুশি ভুলিয়ে দেয় তাদের কবর?
আল্লাহ, ওদের কর দয়া,
তোমার রহমত হোক ওদের ছায়া।