মাঝরা‌তে হঠাৎ,
দ‌ক্ষিনা দুয়া‌রের কা‌ছে এ‌সে কেউ যে‌নো আমায় ডাক‌লো,
আমার ঘুম ভে‌ঙ্গে গে‌লো,
আ‌মি নিশ্চুপ হ‌য়ে ব‌সে ভে‌বে‌ছিলাম হয়ত তু‌মি এ‌স‌েছো।
‌কিন্তু আমার তীব্র আকাঙ্খার সবটুকুই  ছি‌লো অ‌ভিমান।
‌ভে‌বে‌ছিলাম,একরাশ পত্রপল্লব‌ অথবা জুঁই,চা‌মে‌লি হ‌রেক রকম ফুল হ‌য়ে‌ আস‌বে,
তোমার আসার আজ অ‌ব্দি খোঁজ নেই বরং এ‌সে‌ছে একরাশ অ‌ভিমান!
চাতক পা‌খির মত পথ চে‌য়ে ভে‌বে‌ছিলাম তু‌মি আস‌বে।
আমার পু‌রো পৃ‌থিবীটা‌কে র‌ঙিন সূ‌ঁতোর বেড়াজা‌লে বাধ‌বে।
আস‌লে পু‌রোটাই ছি‌লো আমার নিরর্থক চাওয়া,একরাশ অ‌ভিমান।
‌ভে‌বে‌ছিলাম,‌ভা‌লোবাসা এক স্বর্গীয় অনুভূ‌তি,
হৃদ‌য়ের শত রক্তখর‌নের মা‌ঝেও এ এক পরম প্রশা‌ন্তি।
কিন্তু স্বর্গীয় অনুভূ‌তি কিংবা প্রশান্ত‌ি নয়,
বরং লু‌কি‌য়ে আ‌ছে অজস্র অ‌ভিমান।
‌নেহাত্ পৃ‌থিবী সম অ‌ভিমা‌নের কো‌নো অং‌শেই কম নয়।
আ‌মি আয়নার সাম‌নে দাড়া‌লেও আমার চোখ দু‌টোও ব‌লে দেয়-
আ‌মি অ‌ভিমানের সাগ‌রে ডু‌বে গি‌য়ে‌ছি।
শরতের কাঁশফুলগু‌লো কিংবা নবা‌ন্নের সোনালী ফস‌লের ধুম,
‌অ‌ভিমান ক‌রে আমা‌কে এ‌ড়ি‌য়ে যায়।
অ‌ভিমা‌নের বে‌শে শীতের সকালটাও আমা‌কে অবজ্ঞা ক‌রে।
এমন‌কি সারাটা দিন কুয়াশার চাদরে জড়ানো  অ‌ভিমান আমার পিছু ছা‌ড়ে না।
মা‌ঝেমধ্যে ভা‌বি হৃদয় হয়ত পুষ্পকানন‌ে ভ‌রে উঠ‌বে।
‌কিন্তু তোমার সেই  অ‌মিমাংস‌‌িত কাহ‌িনী কা‌ব্যে পু‌রোটাই ছি‌লো অ‌ভিমান‌ের ছত্রছায়ার নামকরণ।
পড়ন্ত বি‌কেল‌ের গোধূলী ল‌গ্নের মুহুর্তটাও অ‌ভিমান ক‌রে আমাকে স্পর্শ ক‌রেনা।
না চাই‌তেই তোমার যত অব‌হেলা ,সবটুকু ঘোর অমাবস্যার মত হ‌য়ে
আমাকে স্পর্শ ক‌রে‌ছে ভয় জাগা‌নো একরাশ অ‌ভিমান।